পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেববাণী । হচ্ছে, স্বৰ্গাদির কামনা একেবারে দূর করে দেওয়া । এরূপ স্বৰ্গ এই জায়গারই, এই পৃথিবীরই মত-না হয়। এর চেয়ে একটু ভাল । খ্ৰীষ্টিয়ানদের স্বর্গের ধারণা এই যে, সেটা একটা খুব বেশী ভোগের স্থানমাত্ৰ-সেটা কি করে ভগবান হতে পারে ? এই যে সব স্বৰ্গে যাবার বাসন-এ ভোগসুখেরই কামনা । এ বাসনা ত্যাগ করতে হবে । ভক্তের ভালবাসা সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ ও নিঃস্বাৰ্থ হওয়া চাই—নিজের জন্য ইহলোকে বা পরলোকে কোন কিছু আকাজক্ষা করা হবে না। সুখদুঃখ, লাভক্ষতি-এ সকলের গণনা ত্যাগ করে দিবারাত্রি ঈশ্বরোপাসনা কর-এক মুহূৰ্ত্তও যেন বুখা নষ্ট না হয়। আর সব চিন্তা ত্যাগ করে দিবারাত্ৰি সৰ্ব্বান্তঃকরণে ঈশ্বরের উপাসনা কর । এষ্টরূপে দিবারাত্রি উপাসিত হলে, তিনি নিজ স্বরূপ প্ৰকাশ করেন, তার উপাসকদিগকে তঁর অনুভবে সমর্থ করেন । ১লা আগষ্ট, বৃহস্পতিবার। প্ৰকৃত গুরু। তিনি, যিনি আমাদের আধ্যাত্মিক পূৰ্ব্বপুরুষ—আমরা র্যার ভিতরের আধ্যাত্মিকতার উত্তরাধিকারী। তিনিই সেই প্ৰণালী, র্যার মধ্য দিয়ে আধ্যাত্মিক প্রবাহ আমাদের মধ্যে প্রবাহিত হয় । তিনিই সমগ্র আধ্যাত্মিক জগতের সঙ্গে আমাদের সংযোগ-সুত্ৰস্বরূপ । ব্যক্তিবিশেষের উপর অতিরিক্ত বিশ্বাস থেকে দুর্বলতা ও অন্তঃসারশূন্য বহিঃপূজা আসতে পারে, কিন্তু গুরুর প্রতি প্ৰবল অনুরাগে খুর দ্রুত উন্নতি সম্ভবপর হয়, তিনি আমাদের ভিতরের গুরুর সঙ্গে আমাদের সংযোগবিধান করেন । যদি তোমার গুরুর ভিতর যথার্থ সত্য থাকে, Y 8yr