পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেববাণী । জগতের সকল দেহই আমার, সুতরাং আমার দেহও নিত্য ; কারণ, গাছপালা, জীবজন্তু, চন্দ্ৰসূৰ্য্য, এমন কি, সমগ্ৰ জগত্ত্ব ক্ষাগুই আমার দেহ-তবে ঐ দেহের নাশ হবে কিরূপে ? প্ৰত্যেক মন, প্ৰত্যেক চিন্তাই আমার—তবে মৃত্যু আসবে কি করে ? আত্মা কখনও জন্মানও না, মরেনও না-যখন আমরা এইটে প্রত্যক্ষ উপলব্ধি করি, তখন সকল সন্দেহ উড়ে যায়। “আমি আছি, “আমি অনুভব করছি,’ ‘আমি সুখী হচ্ছি”-“অস্তি, ভাতি, প্ৰিয়’-এগুলির উপর কখনই সন্দেহ করা যেতে পারে না। ক্ষুধা বলে কিছু থাকৃতে পারে না, কারণ, জগতে যে কেউ যা কিছু খাচ্ছে, তা আমিই খাচ্ছি। আমাদের যদি এক গাছ চুল উঠে যায়, আমরা মনে করি না যে, আমরা মলাম। সেইরূপ যদি একটা দেহের মৃত্যু হয়, ও তা ঐ একগাছা চুল উঠে যাওয়ারই মত । 米 米 সেই জ্ঞানাতীত বস্তুই ঈশ্বর-তিনি বাক্যের অতীত, চিন্তার অতীত, জ্ঞানের অতীত !......তিনটে অবস্থা আছে,-পশুত্ব ( তমঃ), মনুষ্যত্ব ( রজঃ ) ও দেবত্ব ( সত্ত্ব ) । যারা সর্বোচ্চ অবস্থা লাভ করেন, তঁরা অস্তিমাত্র বা সৎস্বরূপমাত্র হয়ে থাকেন । তঁদের পক্ষে কৰ্ত্তব্যের একেবারে নাশ হয়ে যায়, তঁরা কেবল লোককে ভালবাসেন, আর চুম্বকের মত অপরকে তাঁদের দিকে আকর্ষণ করেন। এরই নাম মুক্তি ? তখন আর চেষ্টা করে কোন সৎকাৰ্য্য করতে হয় না, তখন তুমি যে কাজ করবে, তাই সৎকাৰ্য্য হয়ে যাবে। ব্রহ্মবিৎ যিনি, তিনি সকল দেবতার চেয়েও বড় । যীশুখ্ৰীষ্ট যখন মোহকে জয় করে AVSRet