পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেববাণী । অন্যান্য যোগেও এইরূপ। প্ৰত্যেক বৃত্তির এমন ভাবে বিকাশ সাধন করতে হবে যে, যেন সেটা ছাড়া আমাদের অন্য কোন বৃত্তিই নেইএই হচ্ছে তথাকথিত সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নতিসাধনের যথার্থ রহস্য—অর্থাৎ গভীরতার সঙ্গে উদারতা অর্জন কর, কিন্তু সেটাকে হারিয়ে নয়। আমরা অনন্তস্বরূপ-আমাদের মধ্যে কোন কিছুর ইতি করা যেতে পারে না। সুতরাং আমরা সবচেয়ে নিষ্ঠাবান মুসলমানের মত গভীর, অথচ সবচেয়ে ঘোর নাস্তিকের মত উদারভাবাপন্ন হতে পারি। এটা কাৰ্য্যে পরিণত করার উপায় হচ্ছে-মনকে কোন বিষয়বিশেষে প্ৰয়োগ করা নয়, আদিত মনটারই বিকাশ করা ও তাকে সংযম করা । তা হলেই তুমি তাকে যে দিকে ইচ্ছা ফেরাতে পারবে। এইরূপে তোমার গভীরতা ও উদারতা দুইই লাভ হবে । জ্ঞানের উপলব্ধি এমন ভাবে কর যে, জ্ঞান ছাড়া যেন আর কিছু নাই ; তার পর ভক্তিযোগ, রাজযোগ, কৰ্ম্মযোগ নিয়েও ঐ ভাবে সাধন কর। তরঙ্গ ছেড়ে দিয়ে সমুদ্রের দিকে যাও, তবেই তোমার ইচ্ছামত বিভিন্ন প্রকারের তরঙ্গ উৎপাদন করতে পারবে । তোমার নিজের মনরুপ হ্রদকে সংযম কর, তা না হলে তুমি অপরের মনরুপ হ্রদের তত্ত্ব কখনও জানতে পারবে না। তিনিই প্ৰকৃত আচাৰ্য্য, যিনি তাঁর শিষ্যের প্রবৃত্তি বা রুচি অনুযায়ী নিজের সমস্ত শক্তিটা প্রয়োগ করতে পারেন। প্রকৃত সহানুভূতি ব্যতীত আমরা কখনই ঠিক ঠিক শিক্ষণ দিতে পারি না। মানুষ যে একজন দায়িত্বপূৰ্ণ প্ৰাণী—এ ধারণা ছেড়ে দাও ; কেবল পুর্ণতাপ্ৰাপ্ত ব্যক্তিরই দায়িত্বজ্ঞান আছে । অজ্ঞান ব্যক্তিরা মোহমন্দিরা পান করে Yvo