পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেববাণী । কিছু নাই'-সেই গুলিই শুভ কল্পনা, আর তাতেই অন্যান্য কল্পনার বন্ধন কাটিয়ে দেয় । সুগুণ ঈশ্বরই মানবের সেই সর্বোচ্চ কল্পনা, যাতে আমাদের বন্ধন-শৃঙ্খলের পাবগুলি ভেঙ্গে দিতে পারে । ওঁ তৎ সৎ অর্থাৎ একমাত্র সেই নিগুণ ব্ৰহ্মই মায়ার অতীত, কিন্তু সগুণ ঈশ্বর ও নিত্য । যতদিন নায়ােগারা-প্ৰপাত রয়েছে, ততদিন তাতে প্ৰতিফলিত রামধনুও রয়েছে ; কিন্তু এদিকে প্ৰপাতের জলরাশি ক্ৰমাগত প্ৰবাহিত হয়ে যাচ্ছে । ঐ জলপ্রপাত জগৎপ্ৰপঞ্চস্বরূপ, রামধনু সগুণ ঈশ্বরস্বরূপ,আর এই দুইটাই নিত্য । যতক্ষণ জগৎ রয়েছে, ততক্ষণ জগদীশ্বর অবশ্যই আছেন । ঈশ্বর জগৎ সৃষ্টি করছেন, আবার জগৎ ঈশ্বরকে সৃষ্টি কাবুছে-দুইষ্ট নিত্য । মায়া সৎ ও নহে, অসৎও নহে। নায়াগার-প্রপাত ও রামধনু, উভয়ই অনন্ত কালের জন্য পরিণামশীল-এর মায়ার মধ্য দিয়ে দৃষ্ট ব্ৰহ্ম। পারসিক ও ও খ্ৰীষ্টিয়ানের মায়াকে দুই ভাগে ভাগ করে ভাল অৰ্দ্ধেকটাকে ঈশ্বর ও মন্দ অৰ্দ্ধেকটাকে শয়তান নাম দিয়েছেন । বেদান্ত মায়াকে সমষ্টি বা সম্পূর্ণভাবে গ্ৰহণ করেন এবং তার পশ্চাতে ব্ৰহ্মরূপ এক অখণ্ড বস্তুর সত্তা স্বীকার করেন । 挚 来源 来源 মহম্মদ দেখলেন, খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম সেমিটক ভাব থেকে দুরে চলে যাচ্ছে, আর ঐ সেমিটিক ভাবের মধ্যে থেকেই খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মের কিরূপ হওয়া উচিত, তার যে এক ঈশ্বরে মাত্র বিশ্বাস করা উচিত—এইটাই তার উপদেশের বিষয়”। “আমি ও আমার পিতা এক’-এই আৰ্য্যোচিত উপদেশের উপর তিনি বড়ই বিরক্ত ছিলেন, ঐ উপদেশে তিনি ভয় খেতেন। S ዓ ©