পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/২২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেববাণী । गांनप्प्र डोंगब}4श्न সামঞ্জস্য করে রয়েছে যে, মানুষের এ উভয় থেকে মুক্তিলাভ করুবার ইচ্ছার সম্ভাবনা রয়েছে। মুক্ত যে, সে কোন কালেই বদ্ধ হয়নি। মুক্ত কি করে বদ্ধ হল, এই প্রশ্নটাই অযৌক্তিক । যেখানে কোন বন্ধন নেই, সেখানে কাৰ্য্যকারণভাবও নেই। “আমি স্বপ্নেতে একটা শেয়াল হয়েছিলাম, আর একটা কুকুর আমায় তাড়া করেছিল।” এখন আমি কি করে প্রশ্ন করতে পারি যে, কেন কুকুর আমায় তাড়া করেছিল ? শেয়ালটা। স্বপ্নেরই একটা অংশ, আর কুকুরটাও ঐ সঙ্গে আপনা হতেই এসে জুটুল ; কিন্তু দুইই স্বপ্ন, এদের বাহিরে স্বতন্ত্র অস্তিত্ব নেই। বিজ্ঞান ও ধৰ্ম্ম উভয়ই আমাদের এই বন্ধন অতিক্রম করুবার সহায়স্বরূপ । তবে ধৰ্ম্ম বিজ্ঞানের চেয়ে প্ৰাচীন, আর আমাদের এই কুসংস্কার রয়েছে ষে, ওটা বিজ্ঞানের চেয়ে পবিত্র । এক হিসাবে পবিত্রও বটে, কারণ, ধৰ্ম্ম নীতি বা চারিত্র্যকে ( Morality ) তার একটী অত্যাবশ্যক অঙ্গ বলে মনে করে, কিন্তু বিজ্ঞান তা করে না । , “পবিত্ৰাত্মারা ধন্য, কারণ, তারা ঈশ্বরকে দর্শন করবেন।” জগতে যদি সব শাস্ত্র এবং সব অবতার লোপ হয়ে যায়, তথাপি এই একমাত্র বাক্যই সমগ্ৰ মানবজাতিকে বঁচিয়ে দেবে। অন্তরের এই পবিত্ৰভা থেকেই ঈশ্বরদর্শন হবে। বিশ্বরূপ সমগ্ৰ সঙ্গীতে এই পবিত্রতাই ধবনিত হচ্ছে। পবিত্রতায় কোন বন্ধন নেই । পবিত্রত দ্বারা' অজ্ঞানের আবরণ দূর করে দাও, তা হলেই আমাদের যথার্থ স্বরূপের প্রকাশ হবে, আর আমরা জানতে পারব, আমরা কোন কালে বন্ধ হইনি। নানাত্বদর্শনই জগতের মধ্যে সবচেয়ে বড় পাপ yo