পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

डाक्रJ6ाद । ১৮৯৪ খৃষ্টাব্দের ১৪ই ফেব্রুয়ারী আমার স্মৃতিপথে একটি পৃথক, পবিত্ৰ দিবস হইয়া রহিয়াছে ; কারণ, ঐ দিনেই আমি সৰ্ব্বপ্রথম সেই মহাপুরুষ, সেই ধৰ্ম্ম-জগতের মহাবীর স্বামী বিবেকানন্দের মূৰ্ত্তি দর্শন ও তঁহার কণ্ঠস্বর শ্রবণ করি, যিনি দুই বৎসর পরে আমায় শিষ্যপদে বরণ করিয়া অপাের আনন্দ ও বিস্ময়ে অভিভূত করিয়াছিলেন । * তিনি এই দেশের ( আমেরিকার ) বড় বড় নগরগুলিতে বক্তৃতা দিয়া বেড়াইতেছিলেন, এবং ডিট য়েটের ইউনিটেরিয়ান চার্চে তিনি যে ধারাবাহিক বক্ততা দেন, তাহার প্রথমটা উক্ত দিবসে প্রদত্ত হয় । জনতা এত অধিক হইয়াছিল যে, সুবৃহৎ প্রাসাদটীতে সত্য সত্যই তিলদ্ধ স্থান ছিল না, এবং স্বামিজী তথায় রাজ্যসম্মানে সম্মানিত হন। যখন তিনি বক্তৃতামঞ্চে প্ৰথম পদাৰ্পণ করিলেন, তাহার তখনকার সেই রাজশ্ৰীমণ্ডিত মহিমময় মূৰ্ত্তি যেন এখনও আমার নয়নগোচর হইতেছে। উহা যেন অসীম শক্তির আধার এবং মুহুর্তেই সকলের উপর স্বীপ* আধিপত্য স্থাপন করিয়া লইতেছে! আর র্তাহার সেই অপুৰ্ব্বকণ্ঠন ৷ নিঃসৃত প্ৰথম শব্দ উচ্চারিত হইবামাত্ৰ-শব্দ নয়, যেন সঙ্গীত- এই বীণার স্যায় করুণ রাগিণীতে বাজিতেছে, এই আবার গম্ভীর, শব্দময়, আবেগময় হইয়া ঝঙ্কার দিতেছে-সমস্ত সভা নিস্তব্ধ ভাব ধারণ করল -সে নিস্তব্ধত যেন স্পষ্ট অনুভূত হইতেছিল-এবং সেই বিপুল জনসঙ্ঘ শ্রবণাকাঙ্ক্ষায় শ্বাস রুদ্ধ করিয়া অপেক্ষা করিতে লাগিল । স্বামিজী তথায় সর্বসমক্ষে পাঁচটী বক্তৃতা দেন। তিনি শ্রোতু