পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অ্যাচাৰ্য্যদেব । সময়ে তাহার সহিত ঘনিষ্ঠভাবে মিশিবার কোন সুযোগ ছিল না, কিন্তু আমরা তঁহার কথাগুলি শুনিয়া যাইতে এবং যাহা শুনিতাম, মনে মনে তাহার আলোচনা করিতে লাগিলাম। মনে মনে দৃঢ় সঙ্কল্প ছিল যে, কোন সময়ে, কোথাও তেঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিবাই করিব, যদি আমাদিগকে তজ্জন্য সমস্ত পৃথিবী অতিক্ৰম কক্লিতে হয়, তাহাও স্বীকার । প্ৰায় দুই বৎসর আমরা তঁহার কোনও খোজ পাইলাম না, এবং মনে করিলাম, হয় ত তিনি ভারতে ফিরিয়া গিয়াছেন, কিন্তু একদিন অপরাহ্রে একজন বন্ধু আমাদিগকে সংবাদ দিলেন যে, তিনি এখনও এই দেশেই আছেন এবং গ্রীষ্মকালটী “থাও জ্যাণ্ড আইল্যাণ্ড পার্কে” যাপন করিতেছেন । তাঁহাকে খুজিয়া বাহির করিয়া তাহার নিকট হইতে শিক্ষালাভ করিব, এই দৃঢ় সঙ্কল্প লইয়া আমরা পরদিন প্ৰাতে যাত্ৰা করিলাম । ༣, অবশেষে অনেক অনুসন্ধানের পর আমরা তঁহার সাক্ষাৎ পাইলাম। তিনি জনকোলাহল হইতে দুরে আসিয়া বাস করিতেছেন, এমত অবস্থায় তাহার শান্তিভঙ্গ করিবার দুঃসাহস করিয়াছি, এই ভাৰিয়া আমরা যার পর নাই ভীত হইলাম ; কিন্তু তিনি আমাদের প্রাণের মধ্যে এমন এক আগুন জালিয়াছেন, যাহা নিৰ্বাপিত হইবার নাহে । এই অদ্ভুত ব্যক্তি ওঁর্তাহার উপদেশ সম্বন্ধে আমাদিগকে আরও জানিতে হুইবেই হইবে । সে দিন অন্ধকারময়ী রজনী, ঝুপ কুপ করিয়া বৃষ্টি হইতেছে, আবার আমরাও দীর্ঘ পথভ্ৰমণে শ্ৰান্ত, কিন্তু ঊর্তাহার সহিত সাক্ষাৎ না হওয়া পৰ্য্যন্ত আমাদের মনে শান্তি নাই । তিনি কি “আমাদিগকে শিষ্যত্বে গ্ৰহণ করিবেন ? আর যদি না করেন, তবে Nq6t