পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেববাণী । জগতে যত প্ৰকার ভাব বা ধারণা আছে, তার যে সূক্ষ্ম সার নিষ্কৰ্য, তাকেই আমরা ঈশ্বর বলি । প্ৰত্যেক চিন্তার দুটি ভাগ আছে-একটা হচ্ছে ভাব, আর দ্বিতীয়ট ঐ ভাবদ্যোতক ‘শব্দ’-আমাদের ঐ দুটাকেই নিতে হবে । কি f393f/Kliff ( Idealist ), কি Fyff ( Materialist ), কারও মত খাটি সত্য নয় । আমাদের ভাব ও তার প্রকাশ দুইই নিতে হবে । আমরা আরসিতেই আমাদের মুখ দেখতে পাই-সমুদয় জ্ঞানও সেইরকম যা বাইরে প্রতিবিন্বিত হয়, তুরই জ্ঞান। কেউ কখন তার নিজের আত্মা বা ঈশ্বরকে জানতৃে পরিবে না, কিন্তু আমরা স্বয়ংই সেই আত্মা, আমরাই ঈশ্বর । তোমার তখনই নিৰ্বাণ অবস্থা লাভ হবে, যখন তোমার ‘তুমিত্ব’ একেবারে উড়ে যাবে। বুদ্ধ বলেছিলেন-“যখন “তুমি থাকবে না, ( অর্থাৎ যখন কঁচা আমিটা চলে যাবে। ) তখনই তোমার যথার্থ অবস্থা-তখনই তোমার সর্বোচ্চ অবস্থা ।” অধিকাংশ ব্যক্তিতে সেই আভ্যন্তরীণ ঐশ্বরিক জ্যোতিঃ আবুত ও অস্পষ্ট হয়ে রয়েছে যেন একটা লোহার পিপের ভিতর একটা আলো রাখা হয়েছে, ঐ আলোর এতটুকু জ্যোতিওঁ বাইরে আসতে পারছে না । ক্ৰমে ক্ৰমে পবিত্রতা ও নিঃস্বার্থতা অভ্যাস করে করে আমরা ঐ প্রতিবন্ধক মধ্যবৰ্ত্ত পদার্থকে খুব পাতলা করে ফেলতে পারি। অবশেষে সেটা কাচের মত স্বচ্ছ হয়ে যায়। শ্ৰীীরামকৃষ্ণে যেন ঐ লোহার পিপে কাচের পিপেয় পরিণত হয়েছে। তার মধ্য দিয়ে সেই Vo