পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেববাণী । ) এই সময়ে তাকে দিনের মধ্যে একবার করে খাইয়ে যেতেন, আর তার তত্ত্বাবধান করতেন । কিছুদিন পরে এক সন্ন্যাসিনী এসে তাঁকে তাঁর “মা”কে পাবার জন্য সাহায্য করতে লাগলেন । তঁর যে কোন প্ৰকার গুরুর প্রয়োজন হত, তঁরা আপনি আপনি তঁর কাছে এসে উপস্থিত হতেন। সকল সম্প্রদায়ের কোন না কোন সাধু এসে তাকে উপদেশ দিয়েছিলেন, আর তিনি আগ্রহ করে সকলেরই উপদেশ শুনতেন । তবে তিনি কেবল সেই জগন্মাতারই উপাসনা করতেন-তাঁর কাছে সবই “মা” বলে মনে হত । শ্ৰীীরামকৃষ্ণ কারও বিরুদ্ধে কখনও কড়া কথা বলেন নি । তার হৃদয় এত উদার ছিল যে, সকল ঈশুনাই ভাবত যে, তিনি তাদেরই লোক । তিনি সকলকেই ভালবাসতেন। তাঁর দৃষ্টিতে সকল ধৰ্ম্মই সত্য-তিনি বলতেন, ধৰ্ম্মজগতে সব ধৰ্ম্মেরই স্থান আছে । তিনি মুক্তস্বভাব ছিলেন, কিন্তু সকলের প্রতি সমান প্রেমেই তঁর মুক্তিস্বভাবের পরিচয় পাওয়া যেত, বজ্ৰবৎ কঠোরতায় নয় । এইরূপ কোমল থাকের লোকেরাই নূতন ভাবের সৃষ্টি করেন, আর ‘হঁাকডেকে” থাকের লোকে ঐ ভাব চারদিকে ছড়িয়ে দেন। সেণ্ট পল এই শেষ থাকের ছিলেন। তাই তিনি সত্যের আলোক চতুর্দিকে বিস্তার করেছিলেন । সেণ্ট পলের যুগ। কিন্তু এখন আর নেই। আমাদের অধুনাতন জগতের নূতন আলোকস্বরূপ হতে হবে। আমাদের যুগের এখন বিশেষ প্রয়োজন—এমন একটী সঙ্ঘ, যা আপনা হতেই নিজেকে দেশকালোপযোগী করে নৈবে। যখন তা জুট্ৰবে, তখন সেইটেই জগতের শেষ ধৰ্ম্ম 8总