পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেববাণী । শক্তির ভাব, সর্বশক্তিমত্তা, ঐশ্বরিক শক্তির ভাব এসে থাকে । শিশু যেমন আপনার মাকে সৰ্ব্বশক্তিমতী মনে করে থাকে-মা সব করতে পারে ! সেই জগজ্জননী ভগবতীই আমাদের অভ্যন্তরে নিদ্রিতা কুণ্ডলিনী-তাকে উপাসনা না করে আমরা কখন নিজেদের জানতে পারি না । সৰ্ব্বশক্তিমত্তা, সৰ্ব্বব্যাপিতা ও অনন্ত দয়া সেই জগজননী ভগবতীর গুণ । জগতে যত শক্তি আছে, তিনিই তার সমষ্টিস্বরূপিণী ৷ জগতে যত শক্তির বিকাশ দেখা যায়, সবই সেই জগদম্বা । তিনিই প্ৰাণীরূপিণী, তিনিষ্ট বুদ্ধিৰূপিণী, তিনিই প্ৰেমরূপিণী । তিনি সমগ্র জগতের ভিতর রয়েছেন, আবার জগৎ থেকে সম্পূর্ণ পৃথক । তিনি একজন ব্যক্তিতাঁকে জানা যেতে পারে এবং দেখা যেতে পারে ( যেমন রামকৃষ্ণ তাকে জেনেছিলেন ও দেখেছিলেন ) । সেই জগন্মাতার ভাবে প্ৰতিষ্ঠিত হয়ে আমরা যা ইচ্ছ। তাই করতে পারি। তিনি অতি সত্বর আমাদের প্রার্থনার উত্তর দিয়ে থাকেন । তিনি যখন ইচ্ছা যে কোন রূপে আমাদিগকে দেখা দিতে পারেন । সেই জগজ্জননীর নাম রূপ দুই থাকতে পারে, অথবা রূপ না থেকে শুধু নাম থাকতে পারে। আর তাকে এই সকল বিভিন্ন ভাবে উপাসনা করতে করতে আমরা এমন এক অবস্থায় উপনীত হই, যেখানে নামরূপ কিছুই নেই, কেবল শুদ্ধসত্তামাত্র বিরাজ করে । যেমন কোন শরীরবিশেষের সমুদয় কোষগুলি (Cells) মিলে একটা মানুষ হয়, সেইরূপ প্ৰত্যেক জীবাত্মা যেন এক একটী কোষস্বরূপ, ৭ নং তাদের সমষ্টি ঈশ্বর, আর সেই অনন্ত পুর্ণ তত্ত্ব (ব্ৰহ্ম ) তারও অতীত । 8.