পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেববাণী । নিগুণ পরব্রহ্মকে উপাসনা করা যেতে পারে না, সুতরাং আমাদের আমাদেরই মত প্ৰকৃতিসম্পন্ন তঁর প্রকাশ-বিশেষকে উপাসনা করতেই হবে । যীশু আমাদের মত মনুষ্যপ্ৰাকৃতিসম্পন্ন ছিলেন--তিনি খ্ৰীষ্ট হয়েছিলেন । আমরাও তঁর মত শ্ৰীষ্ট হতে পারি, আর আমাদিগকে তা হতেই হবে । খ্ৰীষ্ট ও বুদ্ধ অবস্থা-বিশেষের নাম—যা আমাদের লাভ করতে হবে। যীশু ও গৌতমের মধ্যে সেই সেই অবস্থা প্ৰকাশ পেয়েছিল । জগন্মাতা বা আদ্যাশক্তিই ব্ৰহ্মের প্রথম ও সর্বশ্রেষ্ঠ প্ৰকাশ-ভার পর খ্ৰীষ্ট ও বুদ্ধগণ তা থেকে প্ৰকাশ হয়েছেন। আমরাই আমাদের পারিপাশ্বিক অবস্থা গঠন করে নিজেদের বদ্ধ করি, আবার আমরাই ঐ শিকল ছিড়ে মুক্ত হই । আত্মা অভয়ম্বরূপ । আমরা যখন আমাদের আত্মার বহির্দেশে অবস্থিত ঈশ্বরের উপাসনা করি, তখন ভালই করে থাকি ; তবে আমরা যে কি করছি, তা জানি না । আমরা যখন আত্মার স্বরূপ জানতে পারি, তখনই ঐ রহস্ত বুঝি। একত্বই প্রেমের সর্বশ্রেষ্ট অভিব্যক্তি । পারসিক সুফিদিগের কবিতায় আছে,- *একদিন এমন ছিল, যখন আমি নারী ও তিনি পুরুষ ছিলেন । উভয়ের মধ্যে ভালবাসা বাড়তে লাগৃলি-শেষে তিনি বা আমি কেউই রইলাম না । এখন এইটুকু মাত্র অস্পষ্টভাবে স্মরণ হয় যে, একসময়ে দুজন পৃথক লোক ছিল, শেষে প্ৰেম এসে উভয়কে এক করে দিলে ।” জ্ঞান অনাদি অনন্তকাল বৰ্ত্তমান-ঈশ্বর যতদিন আছেন, জ্ঞানও ততদিন আছে । যে ব্যক্তি কোন আধ্যাত্মিক নিয়ম আবিষ্কার করেন, আঁকেই Inspried বা প্ৰত্যাদিষ্ট পুরুষ বা ঋষি বলে, আর তিনি যা tR