পাতা:দেবী চৌধুরানী - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সালের বৈশাখ সংখ্যা নারায়ণে মুদ্রিত হইয়াছিল। আমরা সেই প্রবন্ধ হইতে উদ্ধৃত বঙ্কিমচন্দ্র আনন্দমঠ, দেবী চৌধুরাণী এবং সীতারাম লিখিয়া বাঙ্গালীর কলঙ্কাপনোদন করিবার ; প্রাস পাইয়াছিলেন। এই তিনখানা উপহাস বাঙ্গালীর বৈশিষ্ট্যের পরিচয় দেওয়া হইয়াছে । ६. दकिोनौक দেশাত্মবোধে প্রবুদ্ধ করিবার ক্টে হইয়াছে। “বন্দে মাতরম" বাঙ্গালার গান, সমগ্ৰ । ‘. . ভারতবর্ষের নহে ; এই তিনখানা উপন্যাসে কেৱল বাঙ্গালার বাঙ্গালীর কথা আছে, ভারতবর্ষের । অন্ত প্রদেশের ইতি মাত্র নাই। এই তিমখানা উপন্যাস বাঙ্গালার পরিচায়ক, বাগাগিবের পরিচায়ক, সমগ্র ভারতবর্ষের নহে। আনন্দমঠের সন্ন্যাসীরা সবাই বাঙ্গালী, দেবী চৌধুরাণ বাঙ্গালী কুলাঙ্গন, সীতারাম বাঙ্গালী ভৌমিক, চন্দ্রচূড় বাঙ্গালী ব্রাহ্মণ। এই তিনখানা উপন্যাসই বাঙ্গালীকে বাঙ্গালা দেশের ও বাঙ্গালী জাতির প্রতি দৃষ্টি দিতে শিখাইয়াছে। “বন্দে মাতরম" গানই বাঙ্গালীকে বঙ্গভূমিকে মা বলিয়া ডাকিতে শিখাইয়াছে।. এই তিনখানি উপন্যাসে, বাঙ্গালীর প্রকৃতির আধারে বঙ্কিমচন্দ্র সমষ্টি, বাষ্টি এবং সমন্বয়ের অমুশীলন-পদ্ধতি পরিস্ফুট করিয়াছেন। আনন্দমঠে সমষ্টির বা সমাজের ক্রিয় দেখাইতে চেষ্টা করিয়াছেন ; দেবী চৌধুরাণীতে ব্যক্তিগত সাধনার উন্মেষ-প্রকরণ বুঝাইবার প্রয়াস পাইয়াছেন ; সীতারামে সমাজ ও সাধক সম্মিলিত হইলে কেমন করিয়া একটা state বা স্বতন্ত্র শাসন স্বৰ্ষ্ট হইতে পারে, তাহার পর্য্যায় দেখাইয়াছেন ।.সন্ন্যাসীর গৈরিক লেখা তাহার শেষ তিনখানি উপন্যাসে যেন উজ্জল হইয়া ফুটিয়া আছে। বঙ্কিমচন্দ্রের বিশ্বাস ছিল যে, বাঙ্গালায় ব্রাহ্মণ ও কায়স্থ, এই দুই জাতি ছাড়া সমাজের কোমরূপ ভাঙ্গ গড় হয় নাই । তাই তিনি এই তিনখানি উপন্যাসে BBBB BBB BB BBBBBB BBB BBB BBB BBB BBBB S BBBBS BBB BBD সস্তান বটে, কিন্তু তিনি সন্ন্যাস পান নাই । দেবী চৌধুরাণী ব্রাহ্মণকন্যা ; সীতারাম কায়স্থ ভৌমিক ও সেনাপতি । আনন্দমঠে তিনি ঠিক সাম্প্রদায়িক ভাবে সমাজের সংস্কার চেষ্টা কবিয়াছেন ; দেবী চৌধুবাণীতে শক্তিকে সৰ্ব্বসিদ্ধি আধারভূত করিয়া বঙ্গীয় মানবতার উরে: সাধনে চেষ্টা করিয়াছেন ; সীতারাম উপন্যাসে শক্তি বিরূপ হইলে, পুরুষ মোহান্ধ হইলে, কেমন বাড়াভাতে ছাই পড়ে, তাহ দেখাইবার চেষ্টা কপিয়াছেন । এই তিনপান উপন্যাসে বঙ্কিমচন্দ্র বাঙ্গালিত্বের শ্লাঘ ও অপহব ফুটাষ্টয়া দেপাইয়াছেন, কিছুই ঢাকিতে চেষ্টা করেন নাই । বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় দেবী চৌধুরাণীর যে মূলগত বিশ্লেষণ করিয়াছেন, তদ্বারা বঙ্কিমের মনোগত অভিপ্রায় আমাদের নিকট অনেকটা উদঘাটিত হইয়াছে। তিনি বলিতেছেন— দেবী চৌধুরাণী উপন্যাসে বঙ্কিমচন্দ্র তাহার culture বা অনুশীলন তত্ত্বের সাহায্যে একট। মানুষ গড়িতে চেষ্টা করিয়াছেন। এবার ground বা চিত্রের ক্ষেত্র রচিবার প্রয়াসটা বেশ