পাতা:দেবী চৌধুরানী - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় খণ্ড-গ্রয়োদশ পরিচ্ছে । হর। সে যে দশ বৎসর হলো মরে গেছে। . . গিী। মরা মানুষেও কখন ফিরে থাকে : হয়। এত দিন সে মেয়ে কোথায় কার কাছে ছিল : গিল্পী। তা আমি ব্রজেশ্বরকে জিজ্ঞাসা করি নাই। জিজ্ঞাসাও করিব মা। ব্রজ যখন । ঘরে আনিয়াছে, তখন না বুঝিয়া মুঝিয়া আনে নাই। of হর। আমি জিজ্ঞাসা করিতেছি। গিল্পী। আমার মাথা খাও, তুমি একটি কথাও কহিও না। তুমি একবার কথা কহিয়াছিলে, তার ফলে আমার ছেলে আমি হারাইতে বসিয়াছিলাম। আমার একটি ছেলে। আমার মাথা খাও, তুমি একটি কথাও কহিও না । যদি তুমি কোন কথা কহিবে, তবে আমি গলায় দড়ি দিব । হরবল্লভ এতটুকু হইয়া গেলেন। একটি কথাও কহিলেন না। কেবল বলিলেন, “তবে লোকের কাছে নূতন বিয়ের কথাটাই প্রচার থাক্‌ ৷” গিন্নী বলিলেন, “তাই থাকিবে ।” সময়াস্তরে গিল্পী ব্রজেশ্বরকে সুসংবাদ জানাইলেন। বলিলেন, “আমি তাকে বলিয়াছিলাম । তিনি কোন কথা কহিবেন না। সে সব কথার আর কোন উচ্চবাচ্যে কাজ নাই।” ব্ৰজ হৃষ্টচিত্তে প্রফুল্লকে খবর দিল । আমরা স্বীকার করি, গিন্নী এবার বড় গিল্পীপনা করিয়াছেন । যে সংসারের গিল্পী গিন্নীপনা জানে, সে সংসারে কারও মনঃপীড়া থাকে না। মাঝিতে হাল ধরিতে জানিলে নৌকার ভয় কি ? - ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ প্রফুল্ল সাগরকে দেখিতে চাহিল। ব্রজেশ্বরের ইঙ্গিত পাইয়া গিল্প সাগরকে আনিতে পাঠাইলেন। গিল্পীরও সাধ, তিনটি বৌ একত্র করেন। - যে লোক সাগরকে আনিতে গিয়াছিল, তাহার মুখে সাগর শুনিল, স্বামী আর একটা বিবাহ করিয়া আনিয়াছেন—বুড়ো মেয়ে। সাগরের বড় ঘৃণা হইল। “ছি! বুড়ে মেয়ে ” বড় রাগ হইল, “আবার বিয়ে —আমরা কি স্ত্রী নই ?” তুঃখ হইল, “হায়! বিধাতা কেন