( ৪ )
কর্ত্তব্য। যে পর্য্যন্ত এই পতিত মুসলমান জাতি পুনরায় জাতীয় ইতিহাসের আবৃত্তি না করিবে; সে পর্য্যন্ত এই অধঃপতিত জাতির উন্নতির আশা সুদূর পরাহত। বঙ্গীয় সর্ব্বসাধারণের পক্ষে প্রোক্ত ইতিহাস দুইখানি যে অত্যধিক আদরের সামগ্রী হইয়াছে, তাহা বলাই নিষ্প্রয়োজন। আমাদের বিবেচনায় বঙ্গদেশের প্রত্যেক হিন্দু ও মুসলমানের পক্ষে গ্রন্থ দুইখানি পাঠ করিয়া সে সকল পবিত্র স্থানের আদি বৃতান্ত অবগত হওয়া নিতান্ত আবশ্যক।
শ্রীহট্ট-শিবপাশা মাদ্রাসার হেড মৌলভী খায়রুদ্দিন আহমদ সাহেব লিখিয়াছেন,—
আপনি “মক্কা শরীফের ইতিহাস” ও “মদিনা-শরীফের ইতিহাস” এবং “ইসলাম-চিত্র” প্রভৃতি গ্রন্থ লিখিয়া মুসলমান সমাজের মুখোজ্জ্বল করিয়াছেন, ইহা গৌরবের বিষয় বটে।
কিশোর গঞ্জ হইতে মৌলভী আবদুল্লা সাহেব লিখিয়াছেন,
আপনাদের “মদিনা-শরীফের ইতিহাস” ও “ইসলাম-চিত্র” পাঠ করিয়া পরম প্রীতি লাভ করিয়াছি। বিশেষতঃ সমাজের ঘোরতর দুর্দ্দিনে এই প্রকার গ্রন্থ প্রচারের জন্য গ্রন্থকারকে অন্তরের সহিত কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাইতেছি। আমার নামে একখণ্ড “মক্কা-শরীফের ইতিহাস” পাঠাইয়া বাধিত করিবেন।
“সোলতানের” সহকারী সম্পাদক দেওয়ান নাসিরুদ্দিন আহ্মদ সাহেব লিখিয়াছেন,
“আপনার গ্রন্থগুলির ভাষা অতি উন্নত। এরূপ ভাষায় আমাদের জাতীয় দুর্ব্বোধ্য আরব্য ও পারস্য ভাষার শাস্ত্র গ্রন্থগুলি বাঙ্গালায় অনুবাদ হইলে সমাজের প্রভূত কল্যাণ সাধিত হইবে। খোদা আপনাকে দীর্ঘায়ু করিয়়া সমাজ সেবায় ব্রতী রাখুন ইহাই কামনা।”