বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:দেবী রাবিয়া - রাহাতুন্নেছা খাতুন.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দেবী রাবিয়া।

জীর্ণ পৃষ্ঠে চিহ্ণ আঁকিয়া দিয়াছে। ঐ সব দেখিয়া রাবিয়ার হৃদয় বিচূর্ণ হইতে লাগিল।

 পল্লীবাসিগণ পরস্পর সংবাদ পাইয়া বৃদ্ধের অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ার জন্য যখন উপস্থিত হইল, তখনও তাহারা দেখিল রাবিয়া পিতার শবের উপর তপ্ত অশ্রু ও শীতল জল সেচন করিয়া রোদন করিতেছেন।

 আরও কিছু দিন গেল। প্রতিবাসীগণের অনুগ্রহেই রাবিয়ার জীবন বাঁচিতে লাগিল; এবং তিনিও কায়িক পরিশ্রম না করিয়া কাহারও অন্ন গ্রহণ করিতেন না। আপদ বিপদ, শোকে দুঃখে রাবিয়ার জীবন গঠিত হইতে লাগিল। ক্রমে রাবিয়া যৌবন-সীমায় উপনীত হইলেন। হতভাগিনী রাবিয়া আবার রমণীর সুঠাম সৌন্দর্য্য শোভায় চির বঞ্চিতা ছিলেন। তাঁহার শরীরের

৩০