পাতা:দেলারামের পুঁথি - মুন্সি গরিবউল্লা.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
( ২৮ )

উজির নাজির যত ছিল, ভুকে সবে দুঃখ পা-
ইল, দেখিয়া সবার হাল করিলাম বিদায়।
একেলা রহিলাম হেথা, মা বাপ মরেন সেথা,
সভাবে কুড়ালি মারি আপনার পায়। ভাবি
আমি দিন রাত, কিসে পাব মোলাকাত, রূপ
চান্দ নাহি হাতে কে দিবে আমায়।। প্রত্যহ
জঙ্গলে যাই, লাকড়ি বেচি আধা খাই, অর্ভূেক
করি জমা করি দেখিতে তাহায়। জমিলে
অনেক কড়ি, মোহর এক বান্ধা করি, সেই
মোহর লিয়া যাই দেখিতে তাহায় ।। তবে তার
দেখা পাই, মিঠাই আর পাণি খাই, ফুরাইলে
মোহর আমি করি হায় হায়। এহি কারণ এই
হাল, গুজারল এতকাল, আমি তারে চাহি সেত
না চায় আমায়॥ লিখিলে ক যেই জল মোল্লা
রফিকের ফরজন; রহমগঞ্জে ঘর তার সহর
ঢাকায়॥ শুন বন্ধুগণ সার, গরিবউ নাম
তার, যে জন পড়িবে দোষ না দিবে তাহায় ।
যে প্রকার দেখিয়াছে সেই মত লিখিয়াছে,
শুদ্ধ নাহি করে ইহা আপন ইচ্ছায়।।

 পয়ার। শাহাজাদা জামাল যখন কহিলেক দুঃখ। শুনিয়া সে বাদশা-জাদির ফেটে যায় বুক॥ দাইকে ডাকিয়া বিবি কহে শুন দাই। সেতাবি করিয়া তুমি আন একনাই॥