পাতা:দেশবন্ধু-কথা - জিতেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

le/c ভূতাবিষ্টের মত খাটিতেন, তু সে টাকা পান আর নাই পান বাস্তবিক যে সকল মোকদ্দমায় তাহার অসাধারণ শক্তিমত্তা ও কৃতিত্ব প্ৰকাশ পাইয়াছিল, তাহার জন্য তিনি অতি সামান্য টাকাই পাইয়াছিলেন। শ্ৰীযুক্ত অরবিন্দ ঘোষের মোকদ্দমাই তঁহার পসারের প্রধান ভিত্তি, কিন্তু এই মোকদ্দমা চালাইবার সময় তাঙ্গাকে ধার করিয়া সংসার-খরচ চালাইতে হইয়াছিল। পুস্তকের মধ্যে অমৃতবাজার পত্রিকার মামলার উল্লেখ আছে--সে মোকদ্দমার জন্য তিনি এক পয়সাও পান নাই । অরবিন্দের মোকদ্দমার তিনি ৮ দিন সওয়াল-জবাব কারিয়াছিলেন, যাহারা সে বক্তৃতা শুনিয়াছিল তাতাদের কাণে এখনও যেন উহা বাজিতেছে । এমন সুযুক্তিবদ্ধ অথচ এমন আবেগময় বক্তৃতা ভারতবর্ষের কোনও বিচারালয়ে যে কখনও হয় নাই একথা নিঃসন্দেহে বলিতে পারি। এই সামান্য ভূমিকায় আর কোন কথা বলা চলে না। আমার বোধ হয় প্ৰাণের বিশালতাই ছিল চিত্তরঞ্জনের প্রধান গুণ । এই গুণেই তিনি সকলের উপর মাথা তুলিয়া দাড়াইতে পারিয়াছিলেন । এই গুণেই তিনি এমন ভাবে লোকের চিত্ত আকর্ষণ করিয়া বাঙ্গালা দেশের বুক জুড়িয়া বসিতে পারিয়াছিলেন । এই বিশালতার নানা উদাহরণ, পাঠকগণ বৰ্ত্তমান পুস্তকে পাইবেন । আশা করি, তাহার আলোচনা তাহদের পক্ষে মঙ্গল প্ৰদ হইবে । বিদ্যাসাগর কলেজ, কলিকাতা শ্ৰীজিতেন্দ্ৰলাল বন্দ্যোপাধ্যায় >6* कांख्कि, २७०२