পাতা:দেশবন্ধু-কথা - জিতেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰথম পরিচ্ছেদ ᏔᏬ চিত্তরঞ্জনের জন্য যে গাড়ী আসিত, সেই গাড়ীতে মণিকাকা তাহার সঙ্গে যাইতেন । ফলকথা, স্কুলে আসিয়া মণিকাকা ও চিত্তরঞ্জন তিলাৰ্দ্ধকাল তফাৎ থাকিতেন না। এণ্টান্স পরীক্ষা দিবার পূর্বেই মণিকাকার মৃত্যু হয় ; কিন্তু আমি বিশেষ জানি যে, ভবিষ্যৎ-জীবনে চিত্তরঞ্জন কখন মণিকাকার কথা ভুলেন নাই। মণিকাক যেদিন আমাকে তঁহার বন্ধুর সহিত আলাপ করাইয়া দিলেন, সেই দিনই আমি তাহার সহিত কথাবাৰ্ত্তায় ও তাহার সুমিষ্ট ব্যবহারে অতীব মুগ্ধ হইলাম। ক্রমে স্কুল বসিবার আগে যতটুকু সময় পাইতাম, সেই সময়ে ও মধ্যাহ্নছুটীর সময়ে আমি উহাদের সঙ্গে মিলিতাম। বিকাল বেলা আমার সহিত, উহাদের আর দেখা হইতে না, কারণ আমি থাকিস্তাম খিদিরপুরে। আমি ও চিত্তরঞ্জন একত্ৰ হইলে আমাদের উভয়ের মধ্যে বেশীর ভাগ কবিতা লইয়া আলোচনা হইত। আমাদের কবিতার আলোচনার অর্থ, আমরা সে সময়ে আমাদের ন্যায় বালকের পাঠা যে কবিতা পড়িয়াছি তাহাই আবৃত্তি করিতাম এবং কোনটা কেমন রচিত ও কেমন মধুর সেই সম্বন্ধেই কথাবাৰ্ত্ত কহিতাম। চিত্তরঞ্জনের অনেক কবিতা মুখস্থ ছিল এবং আমার নিজের বোধ হয় চিত্ত অপেক্ষাও বেশী মুখস্থ ছিল। অল্প কথায় এইটুকু বলিতে পারি যে, আমি পদ্যপাঠ প্রথম ভাগের “এই ভূমণ্ডল দেখ কি সুখের স্থান” ১ হইতে আরম্ভ করিয়া পদ্যপাঠ তৃতীয় ভাগের শেষ কবিতার - শেষ ছাত্ৰ পৰ্য্যন্ত তখন মুখস্থ বলিতে পারিতাম। ইহা বোধ । হয় আমার ছাত্রবৃত্তি স্কুলে পড়ার ফল, অথবা 6मझे