পাতা:দেশবন্ধু-কথা - জিতেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰথম পরিচ্ছেদ ঐরূপ সংকল্প ছিল, সুতরাং চিত্তের কথায় আমি স্বীকৃত হইলাম । তাহার পর আর দুজনে দেখাসাক্ষাৎ হয় নাই। ইহা বোধ হয় আমারই দোষ ; কিন্তু আমার এ দোষ স্বভাবজাত। ইহা অামি জীবনে কখনও সংশোধন করিতে পারিলাম না । যথাসময়ে টেষ্ট পরীক্ষা দিবার জন্য কলিকাতার স্কুল-ইনস্পেক্টর অফিসে দুইজনেই উপস্থিত হইলাম। দুইজনের আবার সাক্ষাৎ হইল। দুইজনে পাশাপাশি বসিয়া পরীক্ষা দিলাম। বোধ হয় দুই দিন বা তিন দিন দুইজনেরই উক্ত আফিসে যাইতে হয় এবং সমস্ত দিন বসিয়া প্রশ্নোত্তর লিখিতে হয়। যাহা হউক যথাসময়ে আমরা এণ্টান্স পরীক্ষা দিবার অনুমতি পাইলাম এবং পরীক্ষা দিলাম। সে বৎসর ১৮৮৪ খ্ৰীষ্টাব্দে আন্দেী পরীক্ষা হইল না, নূতন নিয়মানুসারে ১৮৮৫ খ্ৰীষ্টাব্দে এপ্রিল মাসে হইল। প্ৰতােহ প্ৰাতঃকালে কয়েক ঘণ্টা ধরিয়া এক একটা • বিষয়ের প্রশ্নোত্তর লিখিতে হইতে, এইভাবে পরীক্ষা চলিল নয় দিন । আমি আসি এক দিক হইতে, চিত্ত আসে অপর দিক হইতে ; সুতরাং অবসর মত দেখাসাক্ষাতের কোনই সম্ভাবনা ছিল না । তবে প্ৰস্তাত পরীক্ষা-মন্দির হইতে বাহির হইয়া রাস্তায় আসিয়াই ংস্কৃত কলেজের পার্শ্বস্থ রাস্তার উপর আমার সেই স্নেহময় শিক্ষকদ্বয় স্বৰ্গীয় রাখালচন্দ্ৰ বন্দোপাধ্যায় ও পূর্ণচন্দ্ৰ মুখোপাধ্যায়কে দেখিতে পাইতাম । তাহদের আহবানে আমাকে , ও চিত্তকে তাহদের সম্মুখে প্রত্যঙ্গই উপস্থিত হইতে হইত। ? তাহারা প্রশ্নোত্তর ‘সম্বন্ধে আমাদের দু’একটি কথা জিজ্ঞাসা