পাতা:দেশবন্ধু-কথা - জিতেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ মাতাপিতার প্রতি ভক্তি ()) আমি তখন আলিপুরে ওকালতি করি। একদিন হঠাৎ কোন ক্লাবে শুনিলাম তিনি “পিতৃঋণ’ শোধ করিয়াছেন। দেনা শোধ দিতে না পারিয়া তাহার পিতা ভুবন বাবু ইনসিলভেণ্টৰ অর্থাৎ দেউলিয়া হন । সেই ঋণের কতকাংশের জন্য চিত্তরঞ্জনও ইনসিলভেনসি। লইয়াছিলেন। এই সমস্ত দেনার আর দাবী নাই। এ দেনা পরিশোধ করিতে তিনি ইংরাজের আইনতঃ বাধ্য ছিলেন না । কিন্তু হৃদয়ের ঋণ পরিশোধ করিবার জন্য ৭৫,০০০২ টাকা দেন দিয়া পিতাকে তিনি ঋণমুক্ত করেন। জষ্টিস ফ্লেচার আন্তরিক আনন্দ প্ৰকাশ করিয়া বলেন, “এইরূপ ব্যাপার বিলাতেও শুনা যায় নাই ।” ইহার কিছুদিন পরে তঁহার পিতৃবিয়োগ হয়। শ্রাদ্ধের সময় পদব্ৰজে বাড়ী বাড়ী গিয়া তিনি নিমন্ত্রণ করিয়া আসেন। কদাচি কোন পাশ্চাত্যভাব। তাহাকে বিপথে চালিত করিতে পারে নাই । তিনি বরাবর অন্তরে বাহিরে বাঙ্গালীই ছিলেনহিন্দু ছিলেন। তঁহার অসাধারণ মাতৃভক্তিরও অনেক আখ্যান আছে। মায়ের কথায় তিনি উঠিতেন বসিতেন, প্ৰত্যহ মায়ের নাম লইয়া কাজ করিতে যাইতেন ।