পাতা:দেশবন্ধু-কথা - জিতেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ ΑΣ ঢাকার মোকদ্দমার দুই এক মাস পরে আমরা আর র্তাহার উপযুক্ত ফি যোগাইতে পারি নাই, কিন্তু নিজের অসচ্ছলতা সত্ত্বেও তিনি মোকদম ছাড়িলেন না । এতগুলি সোনার প্ৰাণের মঙ্গলামঙ্গল যে তাহার হস্তে ন্যস্ত, এ কথা তিনি ভুলিতে পারিলেন না। মায়ের আশীৰ্বাদও পাইলেন, “তুই ওদের জন্য কাজ কর । অভাব থাকবে না ।” শ্ৰীহেমেন্দ্ৰনাথ দাশগুপ্ত । (R) বাল্যকাল হইতেই চিত্তরঞ্জন সরল ও নির্ভীক ছিলেন। সেই সময় হইতেই তাঙ্গার বক্তৃতাশক্তির স্ফুরণ হইয়াছিল। তাহার যুক্তিতর্ক অমােঘ ছিল, কেহ তঁহাকে তর্কে পরাভূত করিতে পারিত না । দেশের জন্য তিনি যে অতুলনীয় স্বাৰ্থত্যাগ করিয়াছিলেন, তাহার পূর্বাভাস তাহার বাল্যজীৰনেই দেখিতে পাওয়া যাইত। হৃদয়ের ঔদার্য তিনি উত্তরাধিকারসূত্রে তাহার । পিতৃদেব ভুবনমােহনের নিকট হইতে পাইয়াছিলেন। তাঁহার | চরিত্রের আর একটা বৈশিষ্ট্য ছিল, তিনি বাল্যকাল হইতেই প্ৰচলিত সংস্কারের বিরোধী ছিলেন । -- ............. ۔ کہ ১৬ বৎসর ধরিয়া চিত্তরঞ্জন পিতৃঋণ পরিশোধের জন্য ভীষণ পরিশ্রম ও কঠোর কষ্ট সহ্য করিয়াছিলেন। ১৮ বৎসর পূর্বে একদিন প্ৰভাতে আমি চিত্তরঞ্জনের নিকট হইতে টাকা পাইয়াছিলাম। তাহার পিতা আমার পিতার নিকট হইতে এই টাকা ঋণ লইয়াছিলেন। উভয়েই তখন পরলোকে । পিতৃঋণ পরিশোধের সঙ্গে সঙ্গে চিত্তরঞ্জন আমাকে একখানি পত্রও