পাতা:দেশবন্ধু-কথা - জিতেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেশবন্ধু-কথা লিখিয়াছিলেন। এই পত্ৰ পাইয়া আমার বিস্ময় সীমা অতিক্রম, করিয়াছিল । * তখন আমার এই কথা মনে হইয়াছিল, “একসঙ্গে মানুষ হলাম ; চিত্তরঞ্জন দেবতা হয়ে গেল, আমি মানুষও হ’তে পারলাম না।” এই কথাগুলি সৰ্বক্ষণই আমার মানসপটে সমুদিত ছিল। শ্ৰীসুরেন্দ্ৰনাথ মল্লিক । (9) পূজার ছুটী উপলক্ষে সে বারে তিনি বায়ুপরিবর্তনের জন্য সমুদ্ৰ-যাত্ৰা করেন—ফিরিয়া আসিয়া আর মাতাকে দেখিতে পান নাই। তিনি দেশে ফিরিবার পাঁচ সাত দিন পূর্বে তাহার মাতা দেহত্যাগ করেন । চিত্তরঞ্জন সর্বদাই মাতার অত্যন্ত অনুরক্ত ছিলেন। তঁাতার মাতার মত এমন উদারমতি, স্বজনবৎসল, স্বামি-পুত্র-পরিবারের সেবানিষ্ঠ স্ত্রীচরিত্র আধুনিক হিন্দু সমাজেও বিরল। জননী মৃত্যুকালে বলিয়া গিয়াছিলেন যে, “জন্মে জন্মে যেন এই স্বামী এবং চিত্তকে পুত্ররূপে প্ৰাপ্ত হই।” তাহার ‘চতুৰ্থ” উপলক্ষে আমি পুরুলিয়ায় যাই। ইহার কিছুদিন পূর্ব হইতেই ভুবন বাবু ব্যবসায় হইতে অবসর লইয়া একরূপ বানপ্ৰস্থ অবলম্বন করিয়া পুরুলিয়ায় যাইয়া বাস করিতেছিলেন । এই স্থানেই চিত্তরঞ্জনের জননীর সংসারলীলা সাঙ্গ হয়। তাঁহার কন্যাগণ র্তাহার অন্তিমকালে পুরুলিয়াতে যাইয়া একত্র হইয়াছিলেন । পুরুলিয়াতেই তাহারা মায়ের ‘চতুর্থ করেন। ইহার পরদিনই চিত্তরঞ্জন দেশে ফিরিয়া আসেন। চিত্তরঞ্জনের মাতৃবিয়োগের পর হইতে র্তাহার ভিতরে । একটা নুতন ভাবের সঞ্চার হয়। শ্ৰীবিপিনচন্দ্ৰ পাল।