পাতা:দেশবন্ধু-কথা - জিতেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R\ দেশবন্ধু-কথা কিন্তু সকলেই বেশ জনিত যে কোন একটা উপলক্ষ করিয়া ইহার নিকট হাত পাতিলে নিরাশ হইয়া ফিরিবার ভয় নাই। আমাদের গ্রামের এক ভদ্রলোক বহুদিন ব্রাহ্মণ সমাজের সহিত ঘনিষ্ঠভাবে মিশিবার পর প্ৰৌঢ়ত্বের সীমায় পৌছিয়া হঠাৎ একদিন মহাপ্রভুর প্রচারিত বৈষ্ণবধৰ্ম্মে আকৃষ্ট হইলেন। দিবারাত্র তাহার বাড়ীতে কীৰ্ত্তন ত চলিতই, বিদেশ হইতে বহু ভক্তজনকে নিমন্ত্ৰণ করিয়া মহোৎসবে গৌর-বিষ্ণুপ্রিয়ার বিগ্ৰহ স্থাপনের জন্য তিনি উৎসুক হইয়াছিলেন। কিন্তু টাকার সঙ্গতি তাহার ছিল না । তাই তিনি গেলেন চিত্তরঞ্জনের নিকট টাকা চাহিতে, আর এক যাইতে সঙ্কোচ বোধ হওয়ার জন্যই হউক অথবা অন্য কোন কারণেই হউক, আমাকে ও আমার আর একজন বন্ধুকেও যাইবার সময়ে ধরিয়া লইয়া গেলেন। চিত্তরঞ্জনের পিতৃব্য ও পিতামহ বরিশালে ওকালতি করিয়াছিলেন। দুৰ্গামোহন দাশের নিকট বরিশাল অনেক রকমে ঋণী । কৃতজ্ঞতার কিঞ্চিৎ চিহ্নস্বরূপ বরিশালবাসী বরিশালের ‘পাবলিক লাইব্ৰেৱী’গৃহে দুৰ্গামোহন দাশের একখানি চিত্র টাঙ্গাইয়া রাখিয়াছে। সুতরাং চিত্তরঞ্জনের প্রতি আমাদের একটা আইনসঙ্গত দাবী আমরা কল্পনা করিয়াছিলাম। জ্যাঠা মহাশয় যখন বরিশালের অনেক উপকার করিয়াছিলেন, তখন ভাইপো বরিশালের লোকদের সাধ মিটাইতে সাহায্য করিতে নিশ্চয়ই আইনতঃ বাধা । বিশেষতঃ চিত্তরঞ্জনও ছিলেন মহাপ্রভুর পরম অনুরক্ত ভক্ত। যাহা হউক, তাহার ভবানীপুরের বাড়ীতে গেলাম, দেখা পাইতেও কোন বাধা হইল না। তিনি দ্বিপ্রহরে আপনার পাঠাগারে বিশ্রাম