পাতা:দেশবন্ধু-কথা - জিতেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ ܓ করিতেছিলেন, যতদূর মনে পন্ডে, একটা গদি-আঁটা চেয়ারে বসিয়া সুরতি তামাক টানিতেছিলেন । আমরা নমস্কার করিয়া তাহাকে আমাদের আজী জানাইলাম। আমাদের ক্ষুদ্র গ্রামের সেই ধৰ্ম্মানুষ্ঠানের জন্য তিনি ৫০২ টাকা দান করিয়াছিলেন। ইহার পূর্বেই বিখ্যাত ব্যারিস্টার ও সুসাহিত্যিক চিত্তরঞ্জন দশকে দর্শন করিবার সৌভাগ্য আমার হইয়াছিল। ঢাকায় একটি সাহিত্য-পরিষৎ আছে, এটি একটি স্বাধীন অনুষ্ঠান ; কলিকাতার বড় পরিষদের শাখা নহে। চিত্তরঞ্জন এই পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হইয়াছিলেন । বার্ষিক সভার সময় সকলের আগ্রহে তিনি ঢাকায় গেলেন ; নির্দিষ্ট দিনে তিনি সভাপতির। কাৰ্য্যও করিলেন । সেদিনকার সভায় অনেক লোক-সমাগম হইয়াছিল। আমরা খুব বড় একটা বক্তৃতা শুনিবার আশায় সভায় গিয়াছিলাম ; কিন্তু আমাদের সে আশা 'সফল হয় নাই। চিত্তরঞ্জন বক্তৃতা দিলেন না, দিলেন পরিষদের ভাণ্ডারে এক হাজার টাকা । কলিকাতার পরিষদের অনেক টাকা আছে, কিন্তু ঢাকার গরীব পরিষদের পক্ষে এক তাজার টাকা একটা কুবেরের ভাণ্ডার। তিনি দেশের সেবায় নিজের সর্বস্ব দান করিয়াছিলেন, এই সকল ছোট দানে তঁহার প্রাণের পরিচয় পাওয়া গিয়াছে মাত্ৰ । শ্ৰীসুরেন্দ্ৰ নাথ সেন ।