পাতা:দেশবন্ধু-কথা - জিতেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

No দেশবন্ধু-কথা গ্ৰহণ করে আমাকে ঋণমুক্ত করুন। কন্যার বিবাহে এই টাকা । যদি আপনার আবশ্যক না হয়, বিবাহ-খরচা বাদে যা৷” অবশিষ্ট থাকবে, আপনি কিছু জমি কিনে ভোগ-দখল করবেন।” ব্ৰাহ্মণ-পণ্ডিত তখন পৈতা-জড়ান হস্ত দেশবন্ধুর মস্তকে দিয়া গদগদকণ্ঠে আশীৰ্বাদ করিয়াছিলেন, “বাবা, তুমি রাজা হও!” আমরা এখন চৰ্ম্মচক্ষুতে দেখিতেছি, দেশবন্ধু সর্বস্ব দান করিয়া একপ্ৰকার নিঃস্ব হইয়া দেহত্যাগ করিয়াছেন । ব্ৰাহ্মণের আশীৰ্বাদ ফলিয়াছিল কি না। অর্থাৎ দেশবন্ধু রাজা হইতে পারিয়াছিলেন। কিনা, সে বিচার-ভার পাঠকের উপর। শ্ৰীকৃষ্ণদাস চন্দ্ৰ । (8) চিত্তরঞ্জনের জনক ভুবনমোহন ছিলেন দানশৌণ্ড। তাঁহারই অব্যবহিত ফলে পিতাপুত্রকে একদিন দেউলিয়া খাতায় নাম লিখাইতে হইয়াছিল। ইনসিলভেণ্টের আসামীদের সম্বন্ধে অনেকের মত আমাদেরও এই ধারণা ছিল যে, আসামীদের অনেকেই অতীতকালে নানান-রকম ভোগ-বিলাসের কাৰ্য্য সারিয়া এবং উত্তরকালের জন্য বেশ গুছাইয়া গাছাইয়া লইয়া, বৰ্ত্তমানকালে পৈতা পুড়াইয়া ভগবান সাজিয়া বসেন। আইনের কারসাজী এমনই যে, দেউলিয়া আসামীকে পাওনাদার জোর জবরদস্তি ত দূরের কথা, একটি কথাও বলিতে পায় না। অনেকের পক্ষে ইহা পরম সুবিধাজনক হইলেও, চিত্তরঞ্জনের প্রথম জীবনে ইহা যে কতদূর ক্লেশদায়ক হইয়াছিল, বলিতে