পাতা:দেশবন্ধু-কথা - জিতেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ \OS পারা যায় না। চিত্তরঞ্জন আইন ব্যবসায়ে মনপ্ৰাণ দান করিয়া অর্থে পাৰ্জন করিতে লাগিলেন। শোনা কথা, এই সময়ে কোন কষ্টকেই তিনি কষ্ট বলিয়া মনে করেন নাই। চিত্তরঞ্জনের কোন প্রিয়জনের নিকটে শুনিয়াছি, এই সময়ে হাইকোট আসিতে ও বাড়া যাইতে গাড়ীভাড়া পৰ্য্যন্ত তিনি খরচ করিতেন না । অনেক সময় এতখানি পথ পদব্রজে আসা-যাওয়া করিতেন । এই ‘আসা-যাওয়াও? আবার সাধারণ লোক-চলাচলের পথে নয়,-পাছে কেহ মোটরে অথবা গাড়ীতে তুলিয়া লইয়া “অনুকম্পা দেখায়’ দৃঢ় আত্মসম্মান-জ্ঞানসম্পন্ন পুরুষবর তাই মাঠের রাস্তা দিয়া, বন্ধুবান্ধবকে এড়াইয়া চলিতেন । জীবন-সংগ্রামে ভাগ্য পুরুষকারের নিকট পরাজয় মানিতে বাধ্য হইল ; ভাগাদেবী স্বহস্তে বিজয়-ঢাকা পরাইয়া পুরুষসিংহ চিত্তরঞ্জনকে পুরস্কৃত করিলেন। যে টাকার জন্য পিতা-পুত্ৰকে দেউলিয়া হইতে হইয়াছিল, সেই পরিমাণ অর্থ চিত্তরঞ্জন সঞ্চয় করিয়া দায়-মুক্ত হইলেন । এই বাঙ্গালী দেনাদারের প্রতি তখনকার হাইকোটের জজ ফ্লেচার সাহেবের উক্তিটি পৃথিবীর লোকের গর্বের বস্তু হইয়া আছে। জষ্টিস, ফ্লেচার-সাহেব বলিয়াছিলেন, “দেউলিয়া আসামী দেন শোধের কোন চাপ না থাকিতেও যে এমন করিয়া স্বেচ্ছায়, স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া পাওনাদারের টাকা মিটাইয়া দেয়, পৃথিবীর আদালতের নজারে ইহাই প্রথম লিপিবদ্ধ श्व्न ।।” * আইনের চাপ ছিল না, জবরদস্তি ছিল না, কাহার বলিবারও কিছু ছিল না। সত্য কথা ; কিন্তু বিবেকের চাপ, ন্যায়ের জবরদস্তি,