পাতা:দেশবন্ধু-কথা - জিতেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ ৩৯

  • (क) যখন ডুমরাওন রাজের প্রসিদ্ধ মোকদ্দমা উপলক্ষে চিত্তরঞ্জন তথায় অবস্থিতি করিতেছিলেন, ইহা সেই সময়ের কথা । তখন রাজকোষ হইতে র্তাহার বিপুল অৰ্থাগম হইতেছিল, কিন্তু সেই অর্থ কিরূপে বায়িত হাইতি, তাহা শুনুন ।

গোবিনবাবুগঞ্জ বলিয়াছেন যে তিনি প্ৰত্যত দেখিতেন যে সকালবেল ৮টা তইতে ৯টা পন্যান্ত চিত্তরঞ্জন ক্রমাগত চেক কাটিতেন। কৌতুহলী হঠায়। অনুসন্ধানে জানিতে পারেন যে ঐ সকল চেক ভারতবসের সর্ববত্র প্রেরিত হইতেছে-মান্দ্ৰাজ, বোম্বাই, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, বেতার, বাংলা, পাঞ্জাব, কোথায়ও বাদ নাই । কাহারও রেল ভাড়া আবশ্যক, কাগারও ঋণ পরিশোধ না হইলে অ্যার উপায় নাই, কাহারও দুঃস্থ সংসার কোনরূপে চলে না, কাহারও পরীক্ষার ফি, কাতার ও বা স্কুল-কলেজের তিন চাই, কেহ বা অনুঢ়া কন্যার বিপাতে বিব্রত, কোথায়ও বা স্কুল বা লাইব্রেরীর জন্য অর্থের প্রয়োজন এইরূপভাবে নানাবিধ প্রার্থনা "তাঁহাকে নিরন্তর পূরণ করিতে তাই ত । 蠍 গোবিনবাবু আশ্চমান্বিত ত ইয়া ঠাঁতাকে জিজ্ঞাসা করেন, “আচ্ছা এই যে অসংখ্যা প্ৰাৰ্গা আপনার নিকট হইতে অর্থ লইতেছে, ইতারা কি সকলেষ্ট সাধু ? আমার বিশ্বাস আপনার উদারতার প্রশ্ৰয় লািচয়! কত লোক আপনাকে ঠকাইতেছে।” চিত্তরঞ্জন জাসিয়া বলেন, “আমি জানি ইস্তার মধ্যে কতলোক (ক্য-চিহ্নিত গল্পটি ডুমরাওন রাজের প্রাইভেট সেক্রেটারী শ্ৰীযুক্ত গোবিনলাল”। মুখোপাধ্যায়ের নিকট হইতে লেখক-কর্তৃক সংগৃহীত।