পাতা:দেশবন্ধু-কথা - জিতেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 o দেশবন্ধু-কথা ঠকাইয়া লইতেছে, কিন্তু ইহাও সন্তা বেশীর ভাগ লোক প্ৰকৃত অভাবগ্ৰস্ত । সে বিষয়ে আমার সন্দেহ নাই । আমি যদি প্ৰত্যেক ক্ষেত্রে দানের উপযুক্ত পাত্র বাছাই করিতে বসি, তাহা ভইলে আমার দান করা চলে না ।” এইরূপ মহতী বাণী আমি জীবনে কখনও শুনি নাই । () একদিন প্ৰভাতে ইন্দুবাবু* একটি মর্কেল লইয়া চিত্তরঞ্জনের ভবানীপুরের বাড়ীতে গিয়া দেখিলেন যে তখন চিত্তরঞ্জন নীচে নামেন নাই । সত্বরই আসিবেন শুনিয়া তিনি তাতার অপেক্ষায় বসিয়া রহিলেন । কিছুক্ষণ পরে তিনি আসিলেন । মোকদ্দমাংক্রান্ত কিছু কথাবার্তা চলিতে লাগিল। ঐ ঘরের প্রান্তে একটি বিধবা বসিয়াছিলেন। সেদিকে তাঁহার দৃষ্টিপাত হইলে, তিনি তাঁহার মোহরারকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “উনি কি চান ?” মোহরার বলিল, “উনি আপনাকে বলিবেন।” চিত্তরঞ্জন তাঁহাকে নিকটে ডাকিয়া বলিলেন, “আপনি কি চান ?” রমণী—“দেখুন, আপনার নাম শুনিয়া রাণাঘাটের নিকট একটি ক্ষুদ্র গ্রাম হইতে আমি আসিয়াছি। শিয়ালদহ স্টেশন হইতে একেবারে বরাবর আপনার বাড়াতে আসিয়াছি । আমি বড়ই বিপন্ন। আমার আত্মীয়-স্বজন কেহ নাই। আমার একটিমাত্ৰ কন্যা। পাত্ৰ স্থির হইয়াছে, বিবাহের দিনও (খ) চিহ্নিতটা হাইকোর্টের বেঞ্চ ক্লার্ক শ্ৰীযুক্ত ইন্দুভূষণ* বসু মহাশয়ের নিকট হইতে লেখক-কর্তৃক সংগৃহীত।