পাতা:দেশবন্ধু-কথা - জিতেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পরিচ্ছেদ (፩ ማ মামলাটি হাতে রাখিবার জন্য, তিনি কত অনুরোধ করিলেন। চিত্তরঞ্জন হাসিতে হাসিতে বলিলেন,-“আট লাখ টাকা দিয়া গবৰ্ণমেণ্ট আমায় বাধিয়া রাখিতে চান, এতে তো গবৰ্ণমেণ্টের মহা লাভ। আপনার অন্য ব্যারিস্টারের চেষ্টা দেখুন, না। পাইলে অবশ্য আমি তো প্ৰতিজ্ঞাবদ্ধ আছিই, কিন্তু আমাকে পরিত্রাণ দেওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করিবেন।” আমার যতদূর মনে আছে , তিনি সবশুদ্ধ প্ৰায় যোল লাখ টাকার ব্রিফ ফেরৎ দিয়াছিলেন। নিজের ঘাড়ে এত দেন থাকিতে শুধু দেশের সেবার অবসর করিতে তিনি টাকার দিক দিয়া কি বিপুল ত্যাগই না করিয়াছিলেন । তিনি টাকাকে অপদেবতা বলিতেন ! একদিন সিলেটের অন্তর্গত শ্ৰীমঙ্গল ষ্টেশনে তিনি আধুলি, সিকি, দুয়ানির চেহারা লইয়া কত না কৌতুহল দেখাইয়াছিলেন এবং শ্ৰীমতা বাসন্তী দেবীকে ডাকিয়া দেখাইয়াছিলেন আজ কাল ঐ সকল মুদ্রার চেহারা কিরূপ হইয়া গিয়াছে। চিত্তরঞ্জন ও বসন্তা দেবার সেইদিন বাল-সুলভ কৌতুহল দেখিয়া আমি অব্যাক্ ত হুয়াছিলাম। চিত্তরঞ্জন বলিতেন “লোকে আমার প্র্যাকটিস ত্যাগের প্ৰশংসা করে, কিন্তু প্রাকটিস ত্যাগী করিতে আমার বিন্দুমাত্র কষ্ট হয় নাই, এতদিনের এত অভ্যাস একটা ছাড়িতেও আমার তেমন কষ্ট হয় নাই, যত কন্ট হইয়াছিল তামাক ছাড়িতে।” প্র্যাকটিস ছাড়ার পূর্বে কি কি জিনিস না হাঙ্গলে তাহার • চলিবে না। তাহার একটা তালিকা করিয়াছিলেন । তন্মধ্যে তামাক একটা প্ৰধান জিনিস ছিল। তোমাক ছাড়িয়া চিত্তরঞ্জনের