পাতা:দেশবন্ধু-কথা - জিতেন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ 9 با | (R) বোধ হয় ১৯১৭ খ্ৰীষ্টাব্দে বেলুড় মঠে শ্ৰীরামকৃষ্ণের জন্মতিথি উৎসবোপলক্ষে স্বামী প্ৰেমানন্দ মহারাজ ধৃত বাবদ আড়াই শত টাকা সংগ্ৰহ করিতে আমাকে আদেশ করেন ; আমি প্রথমে কোনও একজন হিন্দুধৰ্ম্মানুরাগী সুপ্ৰসিদ্ধ ব্যারিস্টারের নিকট যাই, তিনি পঞ্চাশ টাকা দিতে স্বীকৃত হইলেন। পরে আমি শ্ৰীযুত চিত্তরঞ্জনের নিকট গিয়া বলিতেই তিনি বলেন, “কত টাকা তুলেছ ?” আমি বলিলাম “কোন সুপ্ৰসিদ্ধ বারিন্টার পঞ্চাশ টাকা দিয়েছেন।” তিনি তৎক্ষণাৎ বলিলেন, “তোমায় আর কোথাও যেতে হ’বে না-বাকী দুই শত টাকা আমি দিব।” এই সংবাদ শুনিয়া মঠের স্বামীজিরা অত্যন্ত আনন্দিত হন এবং তাঁহাকে মাঠে উপস্থিত হইয়া মহোৎসবে যোগদান করিতে স্বামী প্ৰেমানন্দ মহারাজ অামাকে অনুরোধ করিতে বলেন । আমি যখন প্ৰাগমে তাহাকে স্বামীজিদের অনুরোধ জনাই তখন তিনি বলেন, “শুনেছি সেখানে বেজায় ভিড় হয়। অতি ভিড়ে যাওয়া আমার পোষাবে না। অন্য দিন না হয় সপরিবারে গিয়ে দেখে আসবো-কি বল ?” উত্তরে আমি বলিয়ছিলাম, “আপনি না জনসাধারণের সঙ্গে মিশতে চান—তবে ভিড় দেখে ভয় পেলে চলবে কেন ? যেখানে হাজার হাজার লোক এক ভাবের প্রেরণায় ও উন্মাদনায় সম্মিলিত হয়-যে নিরক্ষর মহাপুরুষের আবির্ভাবে বাংলা দেশে * পাশ্চাত্য শিক্ষা-দীক্ষার মধ্যেও প্রাচীন সনাতন আদর্শ প্রতিষ্ঠা হ’চেচ এবং র্যার সাধনার বাণী স্বামী বিবেকানন্দ বক্ত-নিৰ্ঘোষে