পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চরিতাষ্টক।

হন যে, “তুমি খানাকুল কৃষ্ণনগর নিবাসী ** বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিকট দক্ষিণ প্রয়াগের[১] গঙ্গাতীরে * * দেবতার মন্ত্র গ্রহণ করিবে”। কৃষ্ণনগর নিবাসী উক্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেই দিন রজনীতে উহার বিপরীত প্রকার স্বপ্ন সন্দর্শন করেন। এই স্বপ্নানুসারে নির্দ্দিষ্ট স্থানে বাণেশ্বর মন্ত্র গ্রহণ করিয়া যপ আরম্ভ করেন। কয়েক বৎসর যপের পর তিনি সিদ্ধি লাভ করিলেন। এই সিদ্ধি নিবন্ধনই তিনি অসাধারণ বিদ্যালাভ করিয়াছিলেন।

 গুপ্তপাড়ার যে ঘাট কোটাবাড়ীর ঘাট বলিয়া খ্যাত বাণেশ্বর বিদ্যালঙ্কারের নিবাস তাহারই নিকট ছিল। বোধ হয়, গুপ্তপাড়ার ঐ পল্লীতে বিদ্যালঙ্কারই সর্ব্ব প্রথমে কোটা করেন। যে হেতু তাঁহার কোটার নামানু সারেই, উক্ত ঘাট কোটাবাড়ীযর ঘাট বলিয়া বিখ্যাত হইয়াছে।

 বাণেশ্বরের বাল্যকালের এক কৌতুকাবহ গল্প প্রসিদ্ধ আছে। এই শোভাকর বংশে বাণেশ্বরের কিছু পূর্ব্বে মথুরেশ নামক একটী বালক ছিল। এই বালকটী পাঠে অনাবিষ্ট হইয়া সর্ব্বদা দৌরাত্ম করিয়া বেড়াইত। তাহার পিতা সর্ব্বদাই তাহাকে তাড়না করিতেন। এক-


  1. ত্রিবেণী।