পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯৬
চরিতাষ্টক।

বংশ বিবরণ দ্বারাও পুস্তিকাকারের অনুমান সপ্রমাণ হয় না। অল্পকাল পূর্ব্বে রাজা রাধাকান্তদেব বাহাদুর কর্ত্ত‌ৃক কায়স্থদিগের যে একজাই হয়, ঐ উপলক্ষে কায়স্থ দিগের বংশ বিবরণ গ্রন্থে দৃষ্ট হয় যে, ঘোষ, বসু এবং মিত্র দিগের অষ্টবিংশতি পুরুষ হইয়াছে। এই সময়ের মধ্যে ঠাকুর দিগের বংশ এত বৃদ্ধি হওয়া সম্ভাবিত বোধ হয় না। ঘটকদিগের গ্রন্থে ভট্টনারায়ণ হইতে ষোড়শ পুরুষ হলধর নামক কোন ব্যক্তির উল্লেখ দেখা যায়। বর্ণিত আছে, ইনি একজন উৎকৃষ্ট আইনজ্ঞ এবং বঙ্গরাজের প্রধান মন্ত্রী ছিলেন। ইহাও বর্ণিত আছে। যে তিনিই গৌড়নগরের নির্ম্মাতা ও কৌলীন্যের সংস্থাপয়িতা। কিন্তু এসকল কথা, প্রমাণ সিদ্ধ ও ঘটনা-সঙ্গত নহে। পুনশ্চ জগন্নাথ নামক আর এক ব্যক্তির কথা শুনা যায়, ইনি ভট্রনারায়ণ হইতে চতুর্ব্বিংশ পুরুষ। ইনি পূর্ব্ব পুরুষের দৃষ্টান্তানুসারে কনোজ হইতে যশোহরে আসিয়া আবাস স্থাপন করেন এবং ইসবপুরের শূদ্ররাজা সুধারাষের রূপগুণ সম্পন্না কন্যার পাণিগ্রহণ করেন। কথিত আছে, ঠাকুর গোষ্ঠী এই শঙ্কর বিবাহ নিবন্ধন জাতিচ্যুত ও পিরালী বলিয়া আখ্যাত হন। কিন্তু এ গুলি অনুমানমূলক কল্পনা, প্রকৃত ইতিহাসে দেখা যায় পঞ্চারামের পুত্র জয়রাম নামক কোন ব্যক্তি ঠাকুর পরিবারের স্থাপন কর্ত্তা। জয় রাম ২৪ পরগণার আমিন ছিলেন। জিলায়