পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বারকানাথ ঠাকুর।
৯৭

রাজস্ব আদায় করা তাঁহার কার্য্য ছিল। ঐ সময়ে গবর্ণমেণ্টের “ফোর্ট উইলিয়ম” নামক দুর্গ নির্মিত হইতেছিল। ঐ নির্মাণ কার্যের ভার যে বিভাগে অর্পিত ছিল, জয়রাম কোন গতিকে তাহতে যোগ দিয়াছিলেন। এ বিভাগ বর্ত্তমান পবলিক ওয়ার্ক বিভাগের অনুরূপ। বর্ত্তমান পরলিক ওয়ার্কে কিরূপ কার্য্য হয় এবং অর্থের কিরূপ সদ্ব্যবহার হয়, তাহা সকলেই অবগত আছেন। যাহা হউক, উক্ত দুর্গ নির্ম্মাণে প্রচুর অর্থ ও সময় লাগিয়াছিল। সর্ব্বপ্রধান কর্ম্মচারী হইতে সরদার মিস্ত্রী পর্যন্ত প্রত্যেকেই রাশীকৃত অর্থ উপার্জ্জন করিয়াছিল। যখন কার্য্যের উপযুক্তরূপ নিয়মাদি ছিল না, কর্ত্তৃপক্ষের তাদৃশ পর্য্যবেক্ষণ ছিল না, যে যত পারিত লুঠপাট করিত, তখন জয়রামও যদি অর্থোপার্জ্জনের প্রলোভন পরিত্যাগে সমর্থ না হইয়া থাকেন তাহা বিস্ময়ের বিষয় নহে। ষে রূপেই হউক, তিনি বিলক্ষণ সঙ্গতি ও পাঁচটা পুত্র রাখিয়া মরিয়াছিলেন, তন্মধ্যে দর্প নারায়ণ ও নীলমণি নামক দুইটী পুত্র, দুইটা পৃথক্ পরিবার স্থাপন করিয়া গিয়াছেন।

 জ্যেষ্ঠ দর্পনারায়ণ গৃহে থাকিয়া পৈতৃক বিষয়ের রক্ষা। ও সমধিক উন্নতি করিয়াছিলেন। নীলমণি আপন ভাগ্য পরীক্ষার্থ বিদেশে বহির্গত হইলেন। তিনি প্রথমে জিলা আদালতের কোন অধীন কর্ম্মচারীর পদ পান; কিন্তু, ক্রমে, অতি সত্বরই জিলার সেরেস্তাদারী পদ লাড