পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বারকানাথ ঠাকুর।
৯৯

চরিত্র ও প্রকৃতি পুস্তক পর্য্যালোচনায় প্রচুর জ্ঞান লাভ করিয়াছিলেন।

 তাঁহার বিদ্যালয়-শিক্ষার যে ন্যূনতা ছিল, বড় ২ সাহেবদের সংসর্গ ও উপদেশে তাহার পূরণ করেন। এই সংসর্গে বালক কাল হইতেই তাঁহার মন উন্নত হইয়াছিল। এবং এই সময়ে রাজা রামমোহন রায়ের[১] সহিত পরিচয় হওয়াতে ধর্ম ভাবেরও বিলক্ষণ স্ফুর্ত্তি হয়। দ্বারকানাথ প্রথমে পিতামহের ন্যায় খাটী হিন্দু ছিলেন; হোম ও পূজায় তাঁহার খুব শ্রদ্ধা ছিল। কিন্তু রামমোহন রায়ের শিক্ষায়, হিন্দুধর্ম্মের পৌত্তলিকতা ও আড়ম্বর বৃথা বলিয়া বুঝিলেন; এবং পরিশেষে সত্য ও আত্ম-ভাবে একেস্বরের উপাসনা করিতে শিখিয়াছিলেন।

 রামমোহন রায় সদৃশ হিন্দু দার্শনিকের সহিত নিরন্তর অধ্যয়ন, ধর্ম্ম চিন্তা ও তর্কবিতর্ক করতে এবং ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাপনাদি ধর্ম্ম-কার্য্যে তাঁহার সহযোগিতা ও সহায়তা করতে তাঁহার মন ধর্ম্মান্ধতা ও কুসংস্কার হইতে মুক্ত হইল। তাঁহার মন এইরূপে উন্নত হওয়াতে তিনি সমস্ত জীবন কার্য্যে দেখাইয়া গিয়াছেন যে, জাতি বিচার, ধর্ম ও সমাজ সংস্কারের প্রতিকুল হওয়া উচিত নহে। দ্বারকানাথ তাঁহার প্রাচীন


  1. ইহাঁর জীবন-চরিত, প্রথম চরিতাষ্টকে লিখিত হইয়াছে।