পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বারকানাথ ঠাকুর।
১০১

অচির কাল মধ্যে তিনি জমিদারী কার্য্যে বিলক্ষণ দক্ষ হইয়া উঠিলেন। এই দক্ষতা উত্তর কালে তাঁহার অনেক কাজে লাগিয়াছিল। যেহেতু দেশের ব্যবহারিক ও রাজস্ব সম্বন্ধীয় অবস্থা ঐ জ্ঞানের উপর নির্ভর করিতেছিল। জমিদারী ও রাজস্ব পর্য্যালোচনা করিতে করিতে তাঁহার আইন শিক্ষার অভিলাষ হইল। আইন শিক্ষা বিষয়ে কট্লার ফরগুসন্ সাহেবের দ্বারা অনেক সাহায্য পাইয়াছিলেন। এই সাহেব সেই সময়ের এক জন প্রধান ব্যারিষ্টার ছিলেন। প্রথমাবস্থায় দ্বারকানাথের বুদ্ধির উন্নতি সাধন বিষয়ে রাজা রামমোহন রায় এবং ব্যবস্থাধ্যাপন বিষয়ে উপরি উক্ত সাহেবই প্রধান ছিলেন। তিনি যে কেবল দেওয়ানী আইনের মূল সূত্রগুলি শিখিয়া নিশ্চিন্ত ছিলেন তাহা নহে; আইন ব্যবসায়ীকে যেমন রীতিমত শিখিতে হয়, সর্ব্বপ্রকার আইন, তিনিও সেই রূপে শিখিয়াছিলেন। এইরূপে ব্যবস্থাজ্ঞ হইয়া ওকালতী আরম্ভ করিলেন। তৎকালীন অনেক গুরুতর মোকর্দ্দমার নিষ্পত্তি, তাঁহার হাত দিয়া হইয়াছিল।

 তিনি ওকালতী করিতে আরম্ভ করিয়া বড়২ রাজা ও জমিদারের বিশ্বাস ভাজন হইয়াছিলেন। কতকগুলি শক্র-হস্তু-গত প্রায় বিষয় বাঁচাইয়া দেওয়াতে তাঁহার ওকালতী কার্য্যের অত্যন্ত গৌরব বৃদ্ধি হইয়াছিল। সর্ব্বপ্রধান উকিল বলিয়া দেশ বিদেশে সুখ্যাতি হইল। বঙ্গ-