দেশের এবং উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান ২ ভূম্যধিকারিগণের বিশ্বাস্য উপদেশক ও ব্যবস্থা প্রতিনিধি হইলেন। বঙ্গদেশে রাণী কাত্যায়নী, রাজা বরদাকান্ত রায় প্রভৃতি তাঁহার মক্কেল ছিলেন। যে সময়ে দেশীয় ভিন্ন ২ শ্রেণীস্থ লোকদিগের মধ্যে কিছুমাত্র ঐক্য ছিল না; সদ্বিচার প্রাপ্তি সুরতি খেলার মত ছিল; রাজনীতি, কেবল প্রজাবর্গের অভাব ও ইচ্ছা বাড়াইতে ছিল; ঐ সময়ে ওকালতী কার্য্যে কৃতকার্য্য হওয়া অসাধারণ শক্তির পরিচয়।
উপরি উক্ত কার্যের সঙ্গে ২ তিনি ইংরাজ বণিকগণের কলিকতাস্থ বাণিজ্য প্রতিনিধি হইলেন। নীল, রেশম প্রভৃতি এদেশীয় বাণিজ্য দ্রব্য ক্রয় করিয়া ইউরোপে পাঠাইবার জন্য জাহাজ বোঝাই করিয়া দিতেন। কেবল রাইতগণের নিকট হইতে খাজনা আদায় করা এবং বৃথা কার্য্যে সময় ক্ষেপণ করাই যে, জমিদারের কার্য্য নহে, দ্বারকানাথ ঠাকুর স্বসমকালীন অকর্ম্মণ্য জমিদার দিগকে তাহার শিক্ষা দিয়াছিলেন। এইরূপে তিনি কি দেশীয় কি বিদেশীয় উভয় জাতির মধ্যেই আপনার পদ স্থাপন ও ক্ষমতা বৃদ্ধি করিয়াছিলেন।
এই সময়ে ২৪ পরগণার নিমকি কালেকটরের আফিসে সেরেস্তাদারের পদ খালি হয়। দ্বারকানাথ ঐ পদে নিযুক্ত হইলেন। খুব সুখ্যাতির সহিত কাজ করিতে লাগিলেন। এই কার্য্য করিতে ২ ক্রমে সদর যোর্ডের