পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বারকানাথ ঠাকুর।
১১১

স্বয়ং উপস্থিত হইতেন। এবং ছাত্রগণকে উত্তমরূপে বুঝাইয়া দিতেন যে, ইহাতে তাহাদের জাতিপাত বা অধর্ম্ম হইবে না, বরং তদ্বারা শরীর-বিজ্ঞান শাস্ত্রে ব্যুৎপত্তি লাভ করিয়া উৎকৃষ্ট চিকিৎসক হইবেন। তিনি কিছুকাল এইরূপ চেষ্টা করায়, হিন্দু ছাত্রগণের কুসংস্কার ও অমূলক আপত্তি অন্তরিত হইল।

 আমরা প্রথম চরিতাষ্টকে রাজা রামমোহন রায়ের জীবন-চরিতে সতীদাহ ও সতীদাহ-নিবারণ বিষয়ক বিবরণ সংক্ষেপে সংগ্রহ করিয়াছি। এস্থলে কেবল এইমাত্র বক্তব্য যে, দ্বারকানাথ ঠাকুরও ঐ বিষয়ে এক জন প্রধান উদোগী ছিলেন। তজ্জন্য লর্ড উইলিয়ম বেণ্টিঙ্ক বাহাদুরের স্ত্রী লেডি বেণ্টিঙ্ক বিশেষ সন্তোষ প্রকাশ করিয়া তাঁহাকে একখানি পত্র লেখেন।

 এদেশীয় জমিদার গণের কিরূপ ক্ষমতা, উত্তমরূপে সেই ক্ষমতার পরিচালন করিতে পারিলে দেশের কিরূপ উন্নতি হইতে পারে এবং তাহা গবর্ণমেণ্টের সুশাসন পক্ষে কতদূর পোষকতা করিতে পারে, দ্বারকানাথই প্রথমে তাহা অনুভব করিয়াছিলেন। এইজন্য তিনি গবর্নমেণ্ট ও জমিদারের মধ্যে “জমিদারের সভা” নাম দিয়া একটা সভা স্থাপন করেন। ১২৪৫ সালে উহা স্থাপিত হয়। এই সভার দ্বারা উভয়ের পত্রাদি সম্বন্ধ হইত। এই সভা স্থাপন বিষয়ে গবর্নমেণ্টের