পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
চরিতাষ্টক।

সে; “আমি সব শিখিয়াছি।” বলিয়া সমুদয় অবিকল পাঠ করিল। বালকের পিতা তাহা শুনিয়া বলিলেন; “কালে বাণুও পণ্ডিত হবে।” যিনি এতাদৃশ শ্রুতিধর পুত্রের প্রতিও তাদৃশ ব্যঙ্গোক্তি করেন, সেই রামদেব তর্কবাগীশ কত বড় লোক, ইহা দ্বারা তাহারও কতক আভাস পাওয়া যাইতেছে। শুনা যায়, রামদেব সমস্ত মহাভারত স্বহস্তে লিখিরা কণ্ঠস্থ করিয়াছিলেন।

 বাণেশ্বর বয়ঃ প্রাপ্ত ও পণ্ডিত হইয়া মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের রাজসভার একজন সুযোগ্য ও আদরণীয় সভাসদ হইয়াছিলেন। রাজা তাঁহাকে অত্যন্ত ভক্তি ও সম্মান করিতেন। এই স্থানে দীর্ঘ কাল ছিলেন।

 রাজা নবকৃষ্ণ ও তাহার যথেষ্ট আদর ও সম্মান করিতেন। তিনি কলিকাতার শোভাবাজারে বিদ্যালঙ্কারের একটা বাড়ী করিয়া দেন। ঐ বাড়ী বর্তমান আছে এবং উহাতে তাঁহার বংশীয়েরা অদ্যাপি কলিকাতার মধ্যে মহা সমাদরে বাস করিতেছেন। এই বাড়ীর বাস সম্বন্ধেই কলিকাতার বিখ্যাত বসাক দিগের বাটাতে কোন শ্রাদ্ধীয় সভায় বিদ্যালঙ্কারের গমন হয়। এই শূদ্র সংসর্গ প্রযুক্ত-রাজা কৃষ্ণচন্দ্র তাঁহার প্রতি কিঞ্চিৎ অভক্তি প্রকাশ করেন। রাজার এই অভক্তি ভাব, বাণেশ্বর যে মুহূর্ত্তে জানতে পারেন, সেই মুহূর্ত্তেই কৃষ্ণনগর ত্যাগ করিয়া বর্দ্ধমানে প্রস্থান করিলেন। বর্দ্ধমান রাজ চিত্রসেন