পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১৪
চরিতাষ্টক।

ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের “প্রভাকরকে” তিনি ভাল বাসিতেন। টাকা দিয়া সাহায্য করিতেন এবং কাগজে উৎকৃষ্ট প্রস্তাব সকল প্রকাশ করিবার জন্য সম্পাদককে পরামর্শ দিতেন। শত্রুকে কিরূপে নিরস্ত্র করিতে হয়, অন্যাপেক্ষা দ্বারকানাথ তাহা উত্তমরূপে বুঝিতেন। তাঁহার সময়ে “জ্ঞানান্বেষণ” নামক একখানি সম্বাদপত্র প্রচারিত হইত। হেয়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষক রসিককৃষ্ণ মল্লিক তাহার সম্পাদক ছিলেন। তিনি একদা, আপনার কাগজে দ্বারকানাথের নিন্দা প্রচার করেন। এই অপরাধে, সম্পাদককে প্রহার করিবার জন্য দ্বারকানাথ অনেক বন্ধুর কাছে পরামর্শ পাইয়া ছিলেন। কিন্তু দ্বারকানাথ এই সকল পরামর্শ অগ্রাহ্য করিয়া রসিক বাবুকে ভোজে নিমন্ত্রণ করেন এবং তাঁহাকে নম্রভাবে বুঝাইয়া দেন যে, সম্পাদক তাঁহার নিন্দা প্রচার বিষয়ে ভ্রমে পতিত হইয়াছেন। তদবধি দ্বারকানাথের চরিত্র বিষয়ে, সম্পাদকের মত ফিরিয়া যায়।

 ভারতবর্য পরাধীন হইয়াও একটি উৎকৃষ্ট সৌভাগ্য ভোগ করিতে সমর্থ হইয়াছেন, যাহা সভ্যতম ইউরোেপ খণ্ডের অনেক লোকে অদ্যাপি প্রাপ্ত হন নাই। তাহার নাম মুদ্রাযন্ত্রের স্বাধীনতা। পূর্ব্বে ইহা এদেশে ছিল; পত্রিকা সম্পাদকেরা রাজকার্যের ফলাফল স্বাধীন ভাবে বিচার করিতে পারিতেন না। ১২৪৫ সালে সর্