পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বারকানাথ ঠাকুর।
১১৫

চারলস্ মেট্ কাফ্ বাহাদুরের শাসনকালে যন্ত্রের স্বাধীনতা দেওয়া হয়। ঐ স্বাধীনতা প্রাপ্তি বিষয়ে দ্বারকানাথ ঠাকুর কত যত্ন, কত চেষ্টা, কত পরিশ্রম ও কত উৎসাহ প্রকাশ করিয়াছিলেন, তাহা সবিস্তরে লিখিবার অবসর নাই। নিম্নে তৎকালীন এক খানি পত্র এবং পার্কার সাহেবের বক্তৃতার মর্ম্ম সঙ্কলন করিলাম; বোধ হয়, পাঠক, তদ্বারাই তদ্বিষয়ক জ্ঞান লাভে সমর্থ হইবেন। এদেশের হিতৈষী প্রধান প্রধান ইংরাজ ও বাঙ্গালী, মুদ্রাযন্ত্রের স্বাধীনতা দান নিবন্ধন গবর্ণর বাহাদুরকে অভিনন্দন দিবার মানসে একত্র সমবেত হন। দ্বারকানাথ ঐ সভাস্থলে উপস্থিত হইতে না পারিয়া সভাপতিকে এইরূপ পত্র লিখিয়াছিলেন। “দেশীয় জমিদার ভাবেই হউক, বণিক ভাবেই হউক, কিম্বা অন্যাপেক্ষা গবর্ণমেণ্টের নিকট বিশেষ পরিচিত এই জন্যই হউক, এতাদৃশ মহৎ বিষয় উপলক্ষে কিছু বলা, আমি আমার কর্ত্তব্য জ্ঞান করি। এ পর্যন্ত গবর্ণমেণ্ট যত প্রকার হিতকর কার্য্যের অনুষ্ঠান করিয়াছেন, যন্ত্রের স্বাধীনতা দান তন্মধ্যে প্রধান। যেহেতু এই স্বাধীনতা, ভারতরাজ্য শাসন বিষয়ে ইংলিস গবর্ণমেণ্টের বিশেষ সাহায্য করিবে। এই স্বাধীনতা দ্বারা, শাসন-কর্ত্তৃগণের ন্যায়পরতায়, ভারতবাসিগণের সহজেই বিশ্বাস হইবে, কারণ ইহা দ্বারা প্রজাগণকে রাজকার্য্যের ফলাফল বিচারের