পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১১৬
চরিতাষ্টক।

ক্ষমতা দেওয়া হইতেছে।” ঐ সভায়, সহকারী সভাপতি পার্কার সাহেব দ্বারকানাথকে লক্ষ্য করিয়া এইরূপ বক্তৃতা করেন। “আমি যে নামের সম্মান করিতে প্রবৃত্ত হইলাম তাহা এ দেশের মধ্যে প্রধান; তাঁহার দ্বারা রক্ষিত বা তাঁহার সৎপরামর্শ ও বদান্যতার ফলভোগী এতাদৃশ শত শত ব্যক্তি সেই নাম সতত স্মরণ করে; যাহারা তাঁহার অসীম দয়া ও দাতৃত্বের ফল ভোগ করিয়াছে, এতাদৃশ সহস্র সহস্র ব্যক্তির চিত্ত-ক্ষেত্রে সেই নাম অঙ্কিত আছে; কি বিদ্যালয়ে, কি চিকিৎসালয়ে, কি বিজ্ঞান ও সাহিত্য সমাজে যে নাম অহোরহ প্রতিধ্বনিত হইতেছে; আমার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতায়, দয়া, দাক্ষিণ্য ও ঔদার্য্য বিষয়ে যে নামের উপমা দিতে পারে না; আমরা আজ যে বিষয়ের জন্য সমাগত হইয়াছি, তাহার সহিত যে নাম অনপনেয়রূপে সম্বদ্ধ, আমি আমার পরম বন্ধু দ্বারকানাথ ঠাকুরের সেই নাম সকলের সমক্ষে গ্রহণ করিতেছি।—”

 কলিকাতায় পটোলডাঙ্গাস্থিত “ফিবার হস‍্পিটাল” স্থাপন সময়ে যে কমিটি নিযুক্ত হয়, দ্বারকানাথ সেই কমিটীর এক জন প্রধান সভ্য ছিলেন। অন্তরের সহিত ঐ কমিটীর কার্য্য করিয়াছিলেন। মৃত রাজা প্রতাপচন্দ্র সিংহ ঐ কার্য্যে পঞ্চাশ হাজার টাকা এবং বাবু মতিলাল শীল ভূমি দান করেন। তিনি দেশীয়গণের মধ্যে যেরূপ