পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বারকানাথ ঠাকুর।
১১৭

সম্ভ্রম ও প্রতিপত্তি লাভ করিয়াছিলেন, সাহেবদিগের মধ্যেও সেইরূপ। বড় বড় সাহেবের চরিত্র শোধনের জন্য তাহাদের সমক্ষে দোষের কথার উল্লেখ করিতে সঙ্কুচিত হইতেন না। এইরূপে ক্রমে ক্রমে তিনি দেশের মধ্যে সর্ব প্রধান হইয়া উঠিলেন। লর্ড অক‍্লণ্ড বাহাদুর এদেশের হিতানুষ্ঠান সম্বন্ধে সর্ব্বদা তাঁহার সহিত পরামর্শ করিতেন। জমিদারের সহিত গবর্নমেণ্টের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত সম্বন্ধীয় প্রস্তাব লইয়া সর্ব্বদাই কথোপকথন হইত। প্রতি বৃহস্পতিবারে দ্বারকানাথের সহিত লর্ড বাহাদুরের সাক্ষাৎ হইত। বারাকপুরে, দ্বারকানাথকে প্রায়ই নিমন্ত্রণ করিয়া লইয়া যাইতেন। দ্বারকানাথ বলিতেন, এবং তাঁহারি কার্য্যের দ্বারা বুঝা যাইত যে, এদেশের হিতসাধন করাই তাঁহার লক্ষ্য। তাঁহার সকলই অদ্ভত! বাবুগিরি, সাহেবি চাল চলনেরও চুড়ান্ত করিয়া গিয়াছেন। বেলগাছিয়ায় একটা উদ্যান করিয়াছিলেন। তেমন উদ্যান এ দেশের কোন বড়মানুষের ছিল না। উহা এ দেশের যাবতীয় জ্ঞানী, ধনী, ধার্ম্মিক ও রাজনীতিজ্ঞের আরামস্থল ছিল। গবর্ণর জেনেরল পর্য্যন্ত ঐ বাগানে নিমন্ত্রণে যাইতেন।

 অতঃপর দ্বারকানাথ ঠাকুর ১২৪৮ খৃঃ অব্দে ইউরোপ যাত্রার অভিপ্রায় প্রকাশ করেন। কিন্তু তাঁহার ঐ অভিপ্রায়, পরবৎসর জানুয়ারি মাসে কার্য্যে পরিণত