পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দ্বারকানাথ ঠাকুর।
১২১

র্শিত হইয়াছে। এক্ষণে আর একটীর উল্লেখ না করিয়াও ক্ষান্ত হওয়া গেল না। মহারাণী এক দিন নিমন্ত্রণ করিয়া তাঁহাকে আপন অন্তঃপুরে লইয়া যান এবং জ্যেষ্ঠপুত্র ও পুত্রবধূর নিকট দ্বারকানাথের পরিচয় দিয়া দেন। কেবলমাত্র পরিচয় নহে, তাঁহারা দ্বারকানাথের করস্পর্শ করিয়া প্রিয় সম্ভাষণ করিয়াছিলেন। ইংলণ্ড, সদ্গুণের ও স্বদেশহিতৈষীর কতদূর সমাদর করেন, এই রাজব্যবহার দ্বারা এস্থলে তাহারও পরিচয় পাওয়া যাইতেছে।

 ইহার পর দ্বারকানাথ ঠাকুর, বিলাতের ছাপাখানা, পোষ্ট অফিস, পশুশালা, দ্রব্যাদি প্রস্তুত করিবার কারখানা প্রভৃতি দর্শন করেন। তন্মধ্যে কয়েকটা কথামাত্র, এই সংক্ষিপ্ত গ্রন্থে উদ্ধৃত হইবার যোগ্য। তিনি টাইম্‌স নামক সম্বাদ পত্রের যন্ত্রালয়ে গিয়া দেখিলেন, দুই ঘণ্টায় ২০,০০০ জাহার কাগজ মুদ্রিত হইতেছে। পোষ্ট অফিসে গিয়া দেখিলেন, পত্রে ও সম্বাদপত্রে দুই লক্ষ, দুই ঘণ্টার মধ্যে নির্ব্বচিত ও যথাস্থানে প্রেরিত হুইতেছে। কোন সময়ে তত্রত্য পশুশালায় গিয়া দেখিয়াছিলেন, সেখানকার যাবতীয় পশুই, প্রায় ভারতবর্ষ ও অন্যান্য পূর্ব্ব দেশ হইতে সংগৃহীত হইয়াছে। ঐ পশুগণের রক্ষা প্রণালী দেখিয়া তিনি অতিশয় প্রীত হইয়াছিলেন এবং এই প্রণালী, ভারতবর্ষীয় পশুশালাধ্যক্ষগণের

১১