পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাণেশ্বরবিদ্যালঙ্কার।

তাঁহাকে পরম সমাদরে গ্রহণ করিয়া নিজ সভার প্রধান অসন প্রদান করিলেন।

 আমাদের প্রাচীন শাস্ত্রকারেরা এইরূপ নির্দ্দেশ করিয়াছেন যে, ইহলোকে নরত্বই সর্ব্বাপেক্ষা দুর্লভ, নরত্ব অপেক্ষা বিদ্যা, এবং বিদ্যা অপেক্ষা কবিত্ব দুর্লভ। কিন্ত‌ু শক্তিই সর্ব্বাপেক্ষা সুদুর্লভ। চিন্তার উপযুক্ত রূপে অবকাশ পাইলে অনেকেই উৎকৃষ্ট ভাবশুদ্ধ কবিতাদি রচনা করিতে পারেন। কিন্তু বিষয় দর্শন মুহূর্ত্তেই অক্লেশে অনুপম শ্লোকাদি রচনা করা, সাধারণ ক্ষমতার কর্ম্ম নহে। ঐ ক্ষমতাকেই শক্তি বলে। বাণেশ্বর বিদ্য}লঙ্কারে এই চুক্তি প্রচুর পরিমাণে দৃষ্ট হইত। ঈশ্বরের এই অসামান্য দান, তাঁহাতেই দত্ত হইয়াছিল। যে সময়ে যে কথা বলা উচিত, যিনি তদ্দণ্ডেই ঠিক সেইরূপ কথা বলিতে পারেন লোকে তাঁহাকে উপস্থিত বক্তা বলে। তদনুসারে বাণেশ্বরকে উপস্থিত কবি বলা যাইতে পারে। কারণ তিনি উৎকৃষ্ট কবিতা দ্বারা ঐরূপ উপস্থিত বক্ত‌ৃতা করিতে পারিতেন। বোধ হয়, উপস্থিত কবিত্ব বিষয়ে এ দেশে বাণেশ্বর বিদ্যালঙ্কারই অদ্বিতীয় ছিলেন।

 কোন সময়ে বাণেশ্বর বিদ্যালঙ্কার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সহিত তরণীযোগে ভাগীরথী বহিয়া দক্ষিণাভিমুখে গমন করিতেছিলেন। ত্রিবেণী অতিক্রম করিয়াই রাজা