পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩০
চরিতাষ্টক।

বিষয়ে তাঁহাদের দ্বারকানাথের অনুকরণ করা উচিত। তিনি অর্থ ব্যয় দ্বারা যত কার্য্য করিয়াছিলেন, অনেকে বলেন, সর্ব্ব বিষয়েই তাঁহার এক একটি স্বার্থসিদ্ধির মতলব ছিল। যিনি যে কাজই করুন, সূঙ্ক্ষ দর্শনে দেখিয়া গেলে, তাহার কোন না কোন অংশে ঐরূপ মতলব সকলেরই দেখা যায়। ঐরূপ মতলব লোকের থাকে বলিয়াই জগতের কাজ হয়। যাহার ঐরূপ কোন মতলব নাই, তিনি বাসনা বিহীন নিশ্চেষ্ট, —প্রকৃতির স্রোতে ভাসমান। তাঁহার মানসিক সুখের অপ্রতুল নাই বটে, কিন্তু তিনি কাহাকে সে সুখের ভাগ দেন না। সামাজিকের মতলব থাকা আবশ্যক, যিনি আপনার মতলব সিদ্ধির উদ্দেশে শরীর শুষ্ক করিয়া জ্ঞান উপার্জ্জন করেন, হৃদয়ের রক্ত জল করিয়া টাকা রোজকার করেন, যেখানে অভাব, সেই খানে অর্থবৃষ্টি করেন, নাম “কিনিবার” জন্য দেশ-হিতকর কার্য্যের অনুষ্ঠান করেন, আমরা সেইরূপ লোকের সংখ্যা-বুদ্ধি দেখিতে ইচ্ছা করি। কাহার অতিশয় উচ্চ পদ দেখিলে, পার্শ্ববর্ত্তী লোকের মনে কিঞ্চিৎ দ্বেষভাবের সঞ্চার হওয়া প্রকৃতির নিয়ম। বোধ হয়, তাঁহার চরিত্রের বিরুদ্ধে যিনি যাহা বলিয়া থাকেন, ঐ দ্বেষভবই, তাহার মূল। দ্বারকানাথ বাঙ্গালী ছিলেন, এ কথা স্মরণ করা, বঙ্গবাসিগণের বিশেষ আনন্দের বিষয় তাহার সংশয় নাই।