“হিন্দুয়ানি” অবলম্বনেও পরাঙ্মুখ হইতেন না। যখন রামদুলাল সরকার কালীপ্রসাদ দত্তের উদ্ধার সাধনে প্রাণপণে চেষ্টা করিতেছিলেন, তখন রাজকৃষ্ণ বিলক্ষণ। বিপক্ষতা করেন। বোধ হয়, প্রথমে পিতা ও জ্যেষ্ঠের প্রভাবে তিনি উভয় কুল বজায় রাখিতে পারিয়াছিলেন। কিন্তু শেষে তিনিও সমাজচ্যুত হন এবং নিজ পুত্রের বিবাহ কালে হিন্দু সমাজে প্রবিষ্ট হইবার জন্য সমন্বয় করিতে বাধিত হন। গীত বাদ্যে রাজকৃষ্ণের বিলক্ষণ অনুরাগ ছিল। তিনি নিজে গাইতে ও বাজাইতে পারিতেন। সঙ্গীত সাধনী-শক্তি অপেক্ষা সঙ্গীত বিজ্ঞানে তাঁহার অধিক পাণ্ডিত্য ছিল। এই জন্য ভাল ভাল মুসলমান সঙ্গীতবিৎ তাঁহার নিকট সর্ব্বদা থাকিত।
রাজকৃষ্ণ অকর্ম্মণ্য এবং আচার ভ্রষ্ট, অতএব সম্পত্তির সমাংশ পাওয়া তাহার পক্ষে কোন ক্রমেই সঙ্গত নহে। গোপীমোহন এই রূপ মনে করিতেন। রাজকৃষ্ণ মনে করিতেন, তিনি রাজানবকৃষ্ণের ঔরস পুত্র এবং গোপীমোহন পোষ্যপুত্র; অতএব তিনি কখনই তাঁহার সহিত তুল্যাংশ পাইতে পারেন না। পিতার মৃত্যুর পর উভয় ভ্রাতার মনের ভাব ঐ রূপ হইয়াছিল। গোপীমোহন সম্পত্তি বিভাগের জন্য দুইটা তালিকা প্রস্তুত করিলেন। একটাতে কলিকাতার নিকটবর্ত্তী ভাল ভাল যাবতীয় বাড়ী, বাগান, পুষ্করিণী, তালুক ইত্যাদি লিখিত হইল। অপরটিতে