পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৬
চরিতাষ্টক

ছিল না, উহাতে উৎকৃষ্ট পুস্তকাদি ছিল না। গুরু মহাশয়ের পাঠশালার অশুদ্ধ লিখন ও পঠনই বাঙ্গালার সর্বস্ব ছিল। ঐ সকল অশুদ্ধি নিবারণ ও সংস্কত শিক্ষার জন্য বাড়ীতে এক জন সংস্কতজ্ঞ অধ্যাপক নিযুক্ত ছিলেন। তদ্ব্যতীত একজন মুন‍্সী, পারসী ও আরবী পড়াইতেন। পারসীর উৎকৃষ্ট গ্রন্থ সকল পাঠ করায় বাল্যকালেই তিনি সুশীল, সুসভ্য ও বিনম্র হইয়া ছিলেন। তাঁহার শিখিবার শক্তি অসাধারণ ছিল! শীঘ্র শীঘ্র অনেক বিষয় শিখিয়া ফেলেন। সম বয়স্ক ও সতীর্থ যাবতীয় ছাত্রকে, তিনি অল্প দিনের মধ্যেই অতিক্রম করিলেন। সংস্ক‌ৃত আরবী ও পারসী এই তিন ভাযায়, শিশু কালেই একরূপ ব্যুৎপত্তি লাভ করেন। রাধাকান্তের তত অল্প বয়সে সেরূপ শিক্ষা নৈপুণ্য দেখিয়া সকলেই বিস্মিত হইতেন। যখন দেশ মধ্যে সভ্যতা কি সুশিক্ষার তত প্রচলন হয় নাই, সেই সময়েও তিনি অসাধারণ সুশিক্ষা লাভ করিয়া ছিলেন। তবু তখনও তাঁহার কিছু মাত্র ইংরাজী শিখা হয় নাই। রাজা নবকৃষ্ণ অভিজ্ঞতা ও দূরদর্শনের দ্বারা জানিয়াছিলেন যে, তখন যেরূপ সময় আসিতে ছিল, তাহাতে ইংরাজী শিক্ষা নিতান্ত আবশ্যক। এই জন্য তিনি পৌত্র রাধাকান্ত দেবকে কামিং সাহেবের বউবাজারস্থ “কলিকাতা একাডমি’ নামক ইংরাজী বিদ্যালয়ে প্রেরণ করেন। সেখানেও