পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫০
চরিতাষ্টক।

 তাঁহার অন্তঃকরণ উদার ও প্রশস্ত ছিল। তিনি ধর্ম্মান্ধ হিন্দুর ন্যায় অনিষ্টকর প্রথার অনুষ্ঠান বা প্রচলনে উৎসুক ছিলেন না। তাঁহার সময়ে এ দেশের এক জন প্রধান ক্ষমতাশালী লোক ইউরোপ দর্শন করিয়া প্রত্যাগত হন। কয়েক জন “ধার্ম্মিক” তাঁহাকে জাতিচ্যুত করিবার জন্য রাজার সহিত পরামর্শ করেন। রাজা তাঁহাদের পরামর্শ শুনেন নাই। বরং “যিনি ইউরোপ দর্শনে অভিজ্ঞ হইয়া আসিয়াছেন, তাঁহা দ্বারা এদেশের অনেক মঙ্গল হইবার সম্ভাবনা আছে। বিলাত গিয়া তিনি ঘৃণার পাত্র হন নাই, প্রত্যুত অধিকতর সম্মানের ভাজন হইয়াছেন।” ইত্যাদি উপদেশ দিয়া তাঁহাদিগকে তাদৃশী দুশ্চেষ্টা হইতে নিবৃত্ত করেন। অনেকে বলেন, তিনি কতকগুলি হিতানুষ্ঠানে বাধা দিয়াছিলেন। কিন্তু আমরা জানি তিনি প্রকৃত হিতানুষ্ঠানে কখনই বাধা দেন নাই। এ দেশের লোকদিগকে বিলাত পাঠাইবার জন্য চাঁদা সংগ্রহ করিতেন। মেডিকেল্ কলেজের শবব্যবচ্ছেদে তিনি আপত্তি করেন নাই। তিনি ধর্ম্ম ও সাহিত্যের আলোচনায় জীবন যাপন করিয়াছিলেন। তিনি নিজে পর্য্যটক ছিলেন না। কিন্তু তাঁহার জ্ঞানোপার্জ্জ্বন বিষয়ক শ্রম, ধরামণ্ডলের সর্ব্বত্র পর্যটন করিয়াছিল।

 ১২৭৩ সালে (১৮৬৬ খৃঃ) মহারাণী, ভারতবর্ষের