পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬০
চরিতাষ্টক।

উঠে। এককালে অধিক কাঠ চাপাইলে প্রবল আগুনও নিবিয়া যায়। রামগোপাল ইহার প্রথমটীর সুন্দর প্রমাণ দেখাইয়া গিয়াছেন। এবং এখনকার শিক্ষা বিভাগে দ্বিতীয়টীর প্রমাণ দেখা যাইতেছে। এখনকার বালকেরা স্বভাবতঃ যে বুদ্ধি, উৎসাহ ও শ্রমশক্তি লইয়া বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন, শিক্ষা প্রণালীর দোযে; সে সকলের স্ফ‌ুর্ত্তি হওয়া দূরে থাকুক, অনেককে তাহা সমূলে হারাইয়া আসিতে হয়। ইহা অল্প আক্ষেপের বিষয় নহে। একজন বঙ্গ কবি, প্রচলিত প্রণালীতে শিক্ষিত ব্যক্তিগণ সম্বন্ধে একটী সুন্দুর ভাব প্রকাশ করিয়াছেন। তিনি বলেন, “কোন কোন বিলাতী দেসলাই যেমন আপন বাক‍্সের পার্শ্ব ভিন্ন অন্য স্থানে ঘষলে জ্বলে না, সেই রূপ এখন কার শিক্ষিতগণের বুদ্ধি, পঠিত পুস্তক তিন্ন অন্যত্র দীপ্তি পায় না।” যাহা হউক, ডিরোজিওর শিক্ষায় হিন্দু ছাত্রের আচার ভ্রষ্ট ও নীতিভ্রষট হইয়াছে বলিয়া। দেশীয় অধ্যক্ষের উক্ত শিক্ষককে পদচ্যুত করিবার জন্য উপরিতন কর্ত্ত‌ৃপক্ষের নিকট অনুরোধ করিলেন। যেসকল ছাত্রের দোষ প্রকাশ হইয়া পড়িয়াছিল, তাহাদিগকেও তাড়াইয়া দিবার প্রস্তাব করা হইল! ডিরোজিও, উত্তমরূপে আত্ম-পক্ষ সমর্থন করিলেও পদচ্যুত হইলেন। তাঁহার পদচ্যুতিতে উচ্চ শ্রেণীস্থ ছাত্রগণ অত্যন্ত ভগ্নোৎসহ হইলেন। ইহা