পাতা:দ্বিতীয় চরিতাষ্টক - কালীময় ঘটক.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাণেশ্বরবিদ্যালঙ্কার।
১১

বর্দ্ধমানে গমন করিলেন, তোমার কোন বিবরণ পাওয়া যায় না। তবে এই মাত্র বোধ হয় যে, তিনি কৃষ্ণনগর রাজ সভায় কেবল সন্মান লাভের প্রত্যাশায় থাকিতেন না। রাজার সমাদর ও প্রণয় প্রকাশে বাধিত হইয়াছিলেন। অপর কৃষ্ণনগরের ন্যায় বর্দ্ধমানে তাহার গুণের গৌরব হয় নাই। এই সকল কারণেই তিনি বর্দ্ধমান হইতে কৃষ্ণনগরে আসিয়া ছিলেন। যদি ইহাই সত্য হয়, তবে তিনি এই আগমনের পর কৃষ্ণনগরেই ছিলেন, এরূপ সিন্ধান্ত করাও অসঙ্গত হয় না। বাণেশ্বরবিদ্যালঙ্কারের কৃষ্ণনগরে পুনরাগমন সম্বন্ধে যাহা কিছু বলা হইল, নিম্নলিখিত গল্পটী তাহার পোযকতা করিতেছে।

 বানেশ্বর বিদ্যালঙ্কার সম্মুখে উপস্থিত হইলেই, রাজেন্দ্র বাহাদুর মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র গাত্রেত্থান করিতেন। তাহাতে নবদ্বীপের কতকগুলি বিখ্যাত অধ্যাপক, গুরু পুরোহিত ব্যাতীত আর কাহাকে দেখিয়াই রাজার গাত্রোত্থান করা উচিত নহে, বলিয়া অসন্তোষ প্রকাশ করিয়াছিলেন। ইহাতে কৃষ্ণচন্দ্ররায় উত্তর করেন, “বিদ্যালঙ্কার মহাশয়কে আমার গুরু বলিলেও হয়, পুরোহিত বলিলে ও হয়।”

 বাণেশ্বরবিদ্যালঙ্কার একবার পুরুষোত্তমে রথযাত্রাদর্শনে গিয়াছিলেন। সেই বার রথ হইতে বলরাম ঠাকুরের বিগ্রহ ভুপতিত হয়। তদ্দর্শনে তৎকালীন উড়িষ্যা-